বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার নির্দেশ হাই কোর্টের
প্রকাশ | ২১ মে ২০১৮, ২০:১৯
বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ নিরাপদ কি না- তা বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাই কোর্ট। সেই সাথে নিরাপদ পাস্তুরিত দুধের নিশ্চয়তা দিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছে হাই কোর্ট।
২১ মে (সোমবার) জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ১৬ মে (বুধবার) বাজারে থাকা বাংলাদেশে পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পাস্তুরিত দুধ নিয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়।
প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে নিরাপদ পাস্তুরিত দুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ) ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও বিএসটিআই-এর মহাপরিচালককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছে আদালত। এছাড়া খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএসটিআই মহাপরিচালক, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ও পুলিশ প্রধানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামি ২৭ জুন পরবর্তী আদেশের জন্য ধার্য করেছেন আদালত।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, জনগণের পুষ্টি নিশ্চিত করে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। কিন্তু আইসিডিডিআর ,বির প্রতিবেদন অনুযায়ী বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধে ভেজাল ধরা পরছে। তার মানে হচ্ছে জনস্বাস্থ্য নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা রয়েছে এবং একই সঙ্গে তা সংবিধানের ১৫(ক), ১৮(১) ও ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন
উল্লেখ্য, আইসিডিডিআর,বি গবেষণায় দুগ্ধ শিল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে দুধের অণুজীববিজ্ঞানগত মান যাচাই করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের দুধ উৎপাদকারী, হিমাগার ও স্থানীয় রেস্তোরাঁ থেকে কাঁচা দুধের ৪৩৮টি নমুনা এবং ঢাকা ও বগুড়ার বিভিন্ন দোকান থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত দুধের ৯৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক দুধ উৎপাদনকারী পর্যায়ে ৭২ শতাংশে কলিফর্ম এবং ৫৭ শতাংশ নমুনায় ফিক্যাল কোলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। নমুনাগুলোর ১১ শতাংশ উচ্চসংখ্যায় ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষিত।