ঝিমুনি ভাব দূরে চা-কফির বিকল্প ৭ কৌশল
প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০১৮, ২১:২৫
ঝিমুনি ভাব দূর করতে আর ফুরুফুরে মেজাজে ফিরে আসতে আমরা চা অথবা কফির সহায়তা নিয়ে থাকি। পরীক্ষার সময় অথবা কাজের চাপে চা এবং কফির মতো পানীয় খুবই কার্যকর। অথচ চাইলেই বিকল্প কিছু কৌশল আমরা অবলম্বন করতে পারি-
১. একটু ঘুরে আসা
টানা কাজ না করে চাইলে একটু বাইরে ঘুরে আসতে পারেন। ১০ মিনিট ফ্রেশ বাতাস আপনার ঘুম ঘুম ভাব সরিয়ে দিয়ে চনমনে করে তুলতে পারে।
২. পর্যাপ্ত পানি পান
শরীরে পানিস্বল্পতা অবসাদ, দ্বিধা, বুক ধড়ফড় করা ইত্যাদি উপসর্গের সৃষ্টি করে। তাই পান করুন পর্যাপ্ত পানি আর নিজেকে রাখুন সতেজ।
৩. কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে নিন
কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে শরীরে দেখ দেয় নানা সমস্যা। চোখে ব্যথা, ঝিমুনি ভাবের সাথে যুক্ত হয় কাঁধ ও ঘাড় ব্যথা। সেক্ষেত্রে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর অন্তর চোখ সরিয়ে নিন কম্পিউটার স্কিন থেকে, সেই সাথে দূরে তাকান। তাছাড়া ঘন ঘন চোখের পাতা ফেললেও উপকার পাবেন।
৪. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
একটি ভালো সকালের নাস্তা আপনার সারাদিনের কর্মস্পৃহাকে বাড়াবে বহুগুণ। তাই অবশ্যই দিনের শুরুতে সুষম পুষ্টিতে ভরপুর ব্রেকফাস্ট করুন।
৫. ছোট্ট ন্যাপ
যদি ঘুমানোর সুযোগ থাকে, তবে ঝিমুনি ছাড়াতে ২০ মিনিট থেকে আধা ঘন্টার একটি ছোট্ট ন্যাপ আপনাকে করে তুলবে সতেজ ও প্রাণোচ্ছল। তাই হাই না তুলে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন।
৬. জোরে হাঁটা
অফিসে বা ঘরে যেখানেই ঝিমুনিভাব দূর করতে বিরতি নিবেন, বিরতিতে আশাপাশে জোরে হেঁটে আসবেন। এতে মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারে চাপমুক্ত হয় এবং অবসাদ দূর হয়ে শরীর ফুরফুরে হয়ে ওঠে। ৫ মিনিটের জন্য হলেও জোরে হাঁটা শরীরকে চাঙ্গা করতে যথেষ্ট।
৭. গান শোনা
ফুরফুরে ভাব আনতে শুনতে পারেন পছন্দের কোন গান। ২০১১ সালের এক গবেষণার ফলাফল অনুসারে জানা যায়, প্রিয় গান মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ ত্বরান্বিত করে যা মানুষকে ‘পুরস্কৃত’ হওয়ার অনুভূতি দেয়।