স্বস্তির ঘুমের জন্য চাই সুশৃঙ্খল জীবন
প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:২০
কেউ বিছানায় যাওয়া মাত্রই ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা চেষ্টা করেও ঘুমাতে পারছেন না। বিছানায় এদিক-ওদিক করে রাতের বেশির ভাগ সময় পার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে বেশির ভাগ অনিদ্রার ক্ষেত্রে অনিয়মই দায়ী। সেদিকে খেয়াল না দিয়ে আমরা দৌড়াই ডাক্তারের কাছে। আর ডাক্তারের পরামর্শে ঘুমের বড়ি খেয়ে ঘুমাই। অথচ একটু সতর্ক হয়ে নিয়মমাফিক জীবনযাপন করলে অন্যের মতো আপনিও স্বাভাবিক ঘুমটাই ঘুমাতে পারেন।
অসময়ে ব্যায়াম
সুস্থ শরীরের জন্য ব্যায়াম জরুরি। কিন্তু ব্যায়াম হওয়া চাই সঠিক নিয়মে এবং সঠিক সময়ে। অসময়ে ব্যায়াম আপনার স্বাভাবিক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য যথেষ্ট। কেননা ব্যায়ামের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে বিপাক প্রক্রিয়ার গতি। সুতরাং দিনের বেলায় ব্যায়াম সেরে নেওয়া ভালো। রাতে ব্যায়াম করলে স্বাভাবিক কারণেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
বেশি টেলিভিশন দেখা
দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি আজকাল বৈঠক ঘরের পাশাপাশি এই যন্ত্রটি শোবার ঘরেও জায়গা করে নিয়েছে। নিজের ঘরে থেকে টেলিভিশন দেখা খারাপ নয়। কিন্তু অনেকের প্রিয় কোনো ছবি দেখতে গিয়ে সময়ের দিকে খেয়াল থাকে না। আর এতেই স্বাভাবিক ঘুমের সমস্যা হয়। শুধু প্রিয় ছবি নয়, অনেক সময় ভয়ের ছবি দেখার ফলে মানসিকভাবে সমস্যা তৈরি হয়। এতেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
অসময়ে কাজ করা
নির্ধারিত সময়ে অফিসের কাজ না করে অফিস সময়ের পর তা করার অভ্যাস অনেকের আছে। আবার কেউ অফিসে কাজ না করে বাসায় নিয়ে যান। রাত জেগে কাজ করেন। এ সময় অভ্যাস শরীরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। শুধু তা-ই নয়, এভাবে কাজের ফলে টেনশনে বেড়ে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়। আবার সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকায় ঠিকমতো ঘুমও হয় না।
বেশি কথা বলা
অনেক সময় রাতেই হয় সংসারের কথাবার্তা। স্বামী-স্ত্রীর সংসারের এ আলোচনা যদি তর্কে রূপ নেয় তাহলে তো হয়েছেই। উচ্চস্বরে কথাবার্তা থেকে ঝগড়া এবং ঘুম মাটি। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার সম্ভাবনা তা দিনেই সেরে নেওয়া ভালো।