স্বাস্থ্যকর্মীদের ধর্মঘট, বৈঠক ডেকেছে মন্ত্রণালয়

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:২৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

চার দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের লাগাতার ধর্মঘট কর্মসূচি চলছে। তবে এ বিষয়ে বৈঠক ডেকেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের নেতাসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রীরও থাকার কথা রয়েছে।

২ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বৈঠক ডেকেছে।

১ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে স্বাস্থ্য সহকারীরা এ ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করে। ফলে সারা দেশে নিয়মিত টিকাদান ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। নির্দিষ্ট দিনে টিকা না দিলে তা কার্যকর হয় না।

স্বাস্থ্য সহকারীদের চার দফা দাবি হচ্ছে: স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দিতে হবে, ঝুঁকি ও মাঠ/ভ্রমণ ভাতা মূল বেতনের ৩০ শতাংশ হারে দিতে হবে, প্রতি ছয় হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একজন করে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে শূন্যপদে নিয়োগ দিতে হবে এবং ১০ শতাংশ পোষ্য কোটা প্রবর্তন করতে হবে।

স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে এই ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন দেশের মাঠপর্যায়ের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী। 

কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও দাবি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক এনায়েত রাব্বি বলেন, ‘আমাদের দাবি পুরোনো। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী এসব দাবি পূরণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, আমলাদের বিরুদ্ধে।’

দেশের ইউনিয়নগুলোর প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকাকেন্দ্র আছে। স্বাস্থ্য সহকারীরা দেশের ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে নিয়মিত টিকা দেন। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে টিকাকেন্দ্রের আশপাশের মা ও শিশুরা এসব কেন্দ্রে এসে টিকা নেয়। স্বাস্থ্য সহকারীরা সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করেন, বাকি তিন দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেন। দেশ থেকে বসন্ত ও পোলিও নির্মূলে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা অনেক বড়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ হাজার ৬০০ কেন্দ্রে নিয়মিত টিকা দেওয়া হয়। এসব কেন্দ্রে গতকাল প্রায় ৪৬ হাজার শিশুর টিকা দেওয়ার কথা ছিল। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। সরকারি প্রক্রিয়ায় দাবিগুলো বাস্তবায়িত করতে কিছু সময় লাগতে পারে। তবে শিশুদের টিকা দেওয়া বন্ধ রেখে, শিশুদের জিম্মি করে ধর্মঘটে যাওয়া ঠিক হয়নি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা আজ থেকে টিকাদানে সহায়তা করবেন।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত