তারুণ্যকে ধরে রাখতে মেনে চলুন টিপসগুলো
প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ০০:০৯
‘কোনোদিন দেখব বয়স বাড়তে বাড়তে একেবারে ষাট সত্তর আশি বছর পার হয়ে গেছে৷ শেষটায় বুড়ো হয়ে মরি আর কী!’ সুকুমার রায়ের ‘হযবরল’- সেই অমর উক্তি এগুলো। স্বপ্নের আজব দুনিয়ায় না হয় ইচ্ছেমতো বয়সকে ঘুরিয়ে দেওয়া চলে। বাস্তব দুনিয়ায় তো আর সেটা সম্ভব নয়।
কথায় আছে ‘দেহ পট সনে নট, সকলই হারায়।’ কাজেই বয়স বাড়বেই। আর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে তার ছাপও পড়বে। কিন্তু বয়স বাড়াকে আটকানো না গেলেও, শরীরে বয়সের ছাপ পড়াকে আটকানোর উপায় আছে। খুব কঠিন নয়, এমন কিছু টিপস রইল আপনার জন্য। মেনে চলুন। দেখবেন বয়স বাড়াবে কিন্তু আপনি থাকবেন তরুণের মতন।
পর্যাপ্ত ঘুম
দৈনিক সাত ঘণ্টা ঘুমনো অত্যন্ত প্রয়োজন। সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও অনেকে রাত জেগে ফোন ঘাটেন। বা সিনেমা দেখেন। এ সব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ঘুমনোর সময়কে কাটছাঁট করার চেষ্টা ভুলেও করবেন না। আর ঘুমনোর সময় চিত হয়ে ঘুমনোই ভাল। সেটা যদি সম্ভব নাও হয়, উপুড় হয়ে শোবেন না।
নিয়মিত হাটা
প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা হাটুন। হাটা মানে মৃদুগতিতে হাটা নয়। জোরে জোরে। এ ভাবে হাটলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ফলে শরীর হয়ে ওঠে ঝরঝরে। অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সূর্যের আলো থেকে ত্বক রক্ষা
সূর্যের রশ্মি মুখে পড়লেই বয়সের ছাপ পড়ে যায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন লোশন লাগান। আর চেষ্টা করুন সূর্যের আলো থেকে যতটা ত্বককে যতটা সম্ভব রক্ষা করতে।
বলিরেখা মুক্ত থাকা
অযথা কপাল বা চোখ-মুখ কুঁচকাবেন না। এতে তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে যেতে পারে।
পানি পান করুন
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ভাজা জাতীয় খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।
ধুমপান ত্যাগ করুন
ধুমপান করার অভ্যাস থাকলে এখনই সেটা ছেড়ে দিন।
অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার গ্রহণ
অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার বেশি করে খান। যেমন-পাকা কলা, পাকা পেঁপে, পাকা আম, পাকা পেয়ারা, দই, ছানা, দুধ, ডিম, টাটকা শাকসবজি ইত্যাদি।
ইতিবাচক মানসিকতা
সর্বদা ইতিবাচক থাকুন। নানা ওঠাপড়া নিয়েই জীবন। মনে স্ট্রেস সৃষ্টি হলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন বের হয়, যা শরীরে টক্সিন ছড়ায়। কোনও কারণে মন খারাপ হলে বা খুব স্ট্রেস হলে চেষ্টা করুন জীবনের সুন্দর অভিজ্ঞতাগুলির কথা মনে করতে। বিষণ্ণতাকে মাথায় চড়তে দেবেন না। ভাল গান শুনুন। অবসরে পছন্দের কাজ করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে মন খারাপ কাটিয়ে উঠতে পারছেন।
সূত্র: এবেলা