জলাতঙ্ক কি এবং কিভাবে ছড়ায়?
প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:০৩ | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৪
জলাতঙ্ক কি: জলাতঙ্ক ভাইরাস সৃষ্ট একটি জ্যুনোটিক রোগ। জ্যুনোটিক মানে এই রোগটি প্রাণি (বিশেষ করে উষ্ণ-রক্তের স্তন্যপায়ী) থেকে মানুষে ছড়ায়। অর্থাৎ এই ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুর যদি কোন মানুষকে কামড়ায়, ঐ মানুষে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হতে পারে।
জলাতঙ্ক পৃথিবীতে সবচেয়ে মারাত্মক রোগ। এ রোগে সংক্রমিত হওয়ার পর কোন তাৎক্ষণিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে তার মৃত্যুর সম্ভাবনা ৯৯.৯%। জলাতঙ্কের সঠিক চিকিৎসা এই মারাত্মক রোগের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
জলাতঙ্ক সমস্যা কত বড়: পৃথিবীর কোথাও না কোথাও প্রতি দশ মিনিটে একজন মানুষ জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এদের মধ্যে এশিয়া ও আফ্রিকার মানুষ বেশি। স্বাস্থ্যসেবা কিংবা টিকা যেখানে মানুষের নাগালের বাইরে সেখানে এ সমস্যা আরো বেশি প্রকট। প্রায় সময় সব পথকুকুরের জলাতঙ্কের নিয়মিত টিকাদান সম্ভবও হয় না।
কুকুরের কামড় শিকারদের বেশিরভাগ ১৫ বছরের কম বয়সী। প্রায় সব শিশুরা প্রাণির সাথে খেলা করে; ওরা (প্রাণি) কখন বিরক্ত হয়, তা বুঝতে পারে না এবং তাদের কামড়/আঁচড়ও রিপোর্ট করে না।
শুধু তাই নয়- জলাতঙ্কে প্রতি বছর হাজার হাজার প্রাণি মারা যায়। জীবিকার উৎস হিসেবে বাঁচা প্রাণিনির্ভর পরিবারগুলোতে অসহনীয় দুর্ভোগে নেমে আসে তখন।
মূলত উষ্ণ-রক্তের প্রাণীদের দ্বারা জলাতঙ্ক কুকুরে ছড়ায় এবং তা থেকে হাজার হাজার প্রাণের মৃত্যু ঘটে।
কিন্তু কুকুর হত্যা জলাতঙ্ক প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করে না। অথচ জলাতঙ্ক প্রতিরোধের নামে প্রতি বছর অমানবিকভাবে আনুমানিক বিশ মিলিয়ন কুকুর হত্যা করা হয়; যার খুব সামান্য প্রভাব এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আছে।
আপনি জানেন কি?
এই রোগ নিয়ন্ত্রণের সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা কুকুরে নিয়মিত জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকাদান।
লেখক: রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট, র্যাবিস ইন এশিয়া ফাউন্ডেশন- বাংলাদেশ