মায়ের দুধের যত গুণ
প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৪৫
শিশুকে জন্মের পর থেকেই মায়ের দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। প্রত্যেক শিশুর জন্যই মায়ের দুধ উৎকৃষ্ট সুষম খাদ্য। জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। এ সময়ে এমনকি এক ফোঁটা পানিরও প্রয়োজন নেই। শিশুর বয়স ছয় মাস হলে মায়ের দুধের পরিপূরক হিসেবে অন্যান্য খাবার দিতে হবে।
শাল দুধ
শিশু জন্মের কিছুক্ষণ পর মায়ের যে দুধ আসে একে শাল দুধ বলা হয়। এর পরিমাণ কম হয়। কিন্তু এটি শিশুর জন্য যথেষ্ট পুষ্টিকর ও নানা রোগ প্রতিরোধের জন্য কার্যকর ওষুধ। তাই কোনো অবস্থায়ই এই দুধ বাদ দেওয়া উচিত নয়। শিশু জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই শাল দুধ শেষ হবে এবং স্বাভাবিক দুধ আসতে থাকবে।
পুষ্টিগুণ
মায়ের দুধে প্রায় সব ধরনের ভিটামিনই রয়েছে। আর অন্যান্য ভিটামিন শিশুর দেহে গ্রহণ করতে যে সময় লাগে তার তুলনায় অত্যন্ত কম সময় নেয় তা শিশুর দেহে গ্রহণ করতে। এ ছাড়া মায়ের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এটি শিশুর প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখে। এর ক্যালসিয়াম ও জিংক শিশুর মজবুত হাড় গঠন করতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ
মায়ের দুধ শিশুকে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। মায়ের দুধে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি রয়েছে। এ কারণে যারা পর্যাপ্ত মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছে তাদের শরীরের অ্যান্টিবডি শক্তি অন্যদের চেয়ে গড়ে ১০ শতাংশ বেশি। মায়ের দুধ নবজাতক শিশুকে মানসিক চাপমুক্ত রাখে। এ ছাড়া এর উপাদান কিডনির সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে। মায়ের দুধ শিশুর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের দ্রুত বিকাশ ঘটায় ও ক্যান্সার প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
স্বল্প ফ্যাট
মায়ের দুধে মাত্র ১৬ শতাংশ ফ্যাট থাকে। এ মাত্রা গরুর দুধ বা অন্যান্য পশুর দুধের তুলনায় অনেক কম। এ কারণে এটি মানবশিশুর জন্য খুবই উপযোগী।
হজমশক্তি বৃদ্ধি
মায়ের দুধ শিশুর হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক। শিশু এ খাবার খুব সহজেই হজম করতে পারে। এতে থাকা সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল শিশুর দেহে সহজেই প্রবেশ করে।
মানসিক বিকাশ
গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিশু নিয়মিত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে বড় হয় তার মানসিকভাবে সুস্থ হওয়ার ও পরিবারের প্রতি কর্তব্যপরায়ণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এমনকি তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্মৃতিশক্তি অন্যদের তুলনায় ভালো হয়।