মার্কিন কংগ্রেসে প্রথমবারের মতো দুই মুসলিম নারী
প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:১৭ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:১৩
প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসে জয়ী হয়েছেন ইলহান ওমর (৩৭) ও রাশিদা তালিব (৪২) নামে দুই প্রার্থী।
স্থানীয় সময় ৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ডেমোক্রেট প্রার্থী ঐ দুই নারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পৃথক দুইটি রাজ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটে মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সোমালিয়া বংশদ্ভুত ইলহান ওমর। যিনি সিনেটে শুধু প্রথম মুসলিম নারীই নন, প্রথম হিজাব পরিহিত নারীও বটে। অপরদিকে, মিশগানের ভোটাররা নির্বাচিত করেছে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিবকে।
জয়ী হবার পর নিজের ভাষণে ওমর বলেন, অনেককে পেছনে ফেলে আজ আমি কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। প্রথম নারী যিনি শ্বতাঙ্গ নন, প্রথম নারী যিনি হিজাব পড়েন, প্রথম নারী যিনি শরণার্থী হিসেবে মার্কিন মুল্লুকে এসেছিলেন এবং প্রথম নারী যিনি মুসলিম। মিনেসোটা শুধু অভিবাসীদের স্বাগতমই জানায় না, তাদের ওয়াশিংটন পাঠায়। ধন্যবাদ মিনেসোটাবাসীদের।
শৈশবের চার বছর কেনিয়ার একটি রিফিউজি ক্যাম্পে কাটিয়েছেন ওমর ইলহান। এক সাক্ষাৎকারে ওমর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আসার স্বপ্ন কোনো দিন দেখিনি। রিফিউজি ক্যাম্পে খাবার নিয়ে চিন্তা করে দিন কেটে যেত আমাদের।
এদিকে প্রথম প্যালেস্টাইন-আমেরিকান নারী হিসেবে কংগ্রেসে জয়ী হয়েছেন রাশিদা তালিব। তিনি একেধারে প্রথম মুসলিম নারীও বটে যিনি সিনেটের সদস্যপদ পেয়েছেন।
জয়ী হবার পর প্রথম ভাষণে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে তালিব বলেন, আমি তোমাদের আমার মা, চাচী, দাদীদের কথা বলতে চাই যারা টিভির সামনে আঠার মত লেগে আছেন। আমার দাদী যিনি এখনও বেঁচে আছেন, এটা দেখার জন্যে তার ৪৭ বছর বয়সী নাতনী ভোটে জিতেছে, মিশিগানরা উল্লাস করছেন আর তারা আনন্দে কাঁদছেন। আমি ফিলিস্তিনীদের উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যারা বহুবছর ধরে নিগ্রহের শিকার।
ফিলিস্তিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা এক পরিবারের ১৪ সন্তানের মধ্যে সবার বড় রাশিদা তালিব। তিনি ফিলিস্তিনী অভিবাসীর সন্তান। ২০০৮ সালে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে তিনি মিশিগান আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।