ফুলছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৭, ০৩:০১
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ চরাঞ্চল বেষ্টিত ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া নতুন করে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ১৩০টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ফুলছড়ি তিস্তা পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি না পেলেও এখনও বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এরেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, কয়েকদিনের ভাঙ্গনে এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ি, পশ্চিম জিগাবাড়ি, হরিচন্ডি, পাগলারচর এলাকায় নদী ভাঙ্গনের কারণে ১৩০টি পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হুমকির মুখে রয়েছে জিগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিগাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ও জিগাবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক।
তিনি বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এখনও সরকারি কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয় নাই।
ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার হেমায়েত আলী শাহ্ জানান, ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যালয়ে কক্ষে পানি উঠায় ঝানঝাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গলনা কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কটকগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।