হাতীবান্ধায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন
প্রকাশ | ১১ মে ২০১৭, ০০:১৬
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেব মোড় এলাকায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, ওই এলাকার বেশ কিছু পরিবার বন্যায় পানি বন্দি হয়ে পরে। সেই কারণে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনকে বলে নিজ উদ্যোগে বাঁধ নিমার্ণের জন্য দুইটি শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছি। বালু’র সাথে যদি পাথর পাওয়া যায় তাহলে ওই পাথর বিক্রি করে স্থানীয় মোতাহার হোসেন কলেজের উন্নয়ন মুলক কাজ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করেছি। ওই সভা’র প্রাথমিক অনুমতি নিয়েই আমি বাঁধ নিমার্ণের জন্য বালু উত্তোলনের কাজ শুরু করেছি।
শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে বালু বা পাথর উত্তোলন অবৈধ এমন প্রশ্নের উত্তরে ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, এলাকার ও কলেজের উন্নয়নে আমি এমন কাজটি করছি। এ নিয়ে লেখালেখি না করইে ভালো হয়। এক পার্যায়ে তিনি বলেন, অভিযোগ উঠায় আমি বালু উত্তোলনও বন্ধ করে দিবো।
সরেজমিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ছোট জামাতা আবু সায়েম ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক সুলতান আহেম্মদ রাজনের নেতৃত্বে ওই এলাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। সেই পাথর গুলো স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মিলনবাজার চাতালে রাখা হচ্ছে।
এ সময় আবু সায়েম বলেন, পাথর উত্তোলন নিয়ে হাতীবান্ধা এসিল্যান্ড আজিজুর রহমানের সাথে আমার কথা হয়েছে। আমরা একটু ব্যবসা করতে চাই।
হাতীবান্ধা উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক সুলতান আহেম্মদ রাজন বলেন, পাথর নয়, বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে তার ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, পাথর নয়, বাঁধ নির্মাণের জন্য বালু উত্তোলনের কথা বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের মৌখিক অনুমতি নিয়েছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবির বলেন, মেশিনের মাধ্যমে বালু বা পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কেউ যদি পাথর বা বালু উত্তোলন করে থাকে, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।