বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মারুথা, ২ নম্বর দূরবর্তী সংকেত
প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৭, ১১:৫৭
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ দেখা দিয়েছে। এটি আরও কিছুটা উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়েছে। এর প্রভাবে আকাশ মেঘলা, সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে এবং উপকূলসহ দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে মারুথা। এ নামটি প্রস্তাব করেছিল শ্রীলঙ্কা।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৬ এপ্রিল (রবিবার) সকাল ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বার্তায় এ তথ্য দেওয়া হয়।
এখন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার এ নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে অবস্থান করছে।
বার্তায় জানানো হয়, নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আবহাওয়া বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।