সুন্দরবন রক্ষায় শনিবার ‘বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ’
প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ২২:৫৩
![](/assets/news_photos/2017/01/06/image-5311.jpg)
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ঠেকাতে ‘বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ’ দিবস ঘোষণা করেছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
আগামী ৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি কলকাতা, দিল্লী, প্যারিস, আমস্টারডাম, বার্লিন, নিউ ইয়র্ক এবং আটলান্টাসহ বেশ কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ দিবস পালিত হবে বলে তেল-গ্যাস কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সুন্দরবন বাংলাদেশের অস্তিত্বের অংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদের মুখে উপকূলীয় অঞ্চলসহ ঐ অঞ্চলের পাঁচ কোটি মানুষের রক্ষাকবচ সুন্দরবন। সুন্দরবন শুধু আমাদের নয়, বিশ্বঐতিহ্য ও বিশ্বের বৃহৎ ম্যানগ্রোভ। এটি মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুনাফাখোর আর দেশি-বিদেশি লুটেরাদের স্বার্থে সুন্দরবনবিনাশী কোনো প্রকল্প মেনে নেওয়া যায় না।
নেতৃবৃন্দ সুন্দরবন বাঁচাতে দেশ-বিদেশের জনমত উপেক্ষা করে রামপাল কয়লাভিত্তিক প্রকল্প অব্যাহত রাখার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। ঐ প্রকল্প বাতিল ও সুন্দরবন রক্ষায় কার্যক্রম গ্রহণের দাবিতে জাতীয় কমিটি আহুত ৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ দিবসে সমাবেশ-মিছিল ও ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় অর্ধদিবস (৬টা-২টা) হরতাল পালন করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মোশারেফ হোসেন নান্নু, ফিরোজ আহমেদ, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম সবুজ, শওকত হোসেন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, জুলফিকার আলী, নাসির উদ্দিন নসু, মাহিন উদ্দিন চৌধুরী ও রজত হুদা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সুন্দরবন রক্ষায় যার যার অবস্থান থেকে দলমত নির্বিশেষে রাজপথে নামতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় আগামী ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় হরতাল সফল করতে আগামী ৮ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পদযাত্রাসহ বিভিন্ন থানায় সভা-সমাবেশ, পদযাত্রা, প্রচারপত্র বিতরণ, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়। সভায় আগামী ৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ দিবসের কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকাসহ দেশব্যাপী স্ব-স্ব উদ্যোগে কর্মসূচি গ্রহণ করতে সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের সাথে জড়িত সংগঠনসমূহের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।