ঘূর্ণিঝড় ফণী: বাংলাদেশে নিহত ৪, আহত ৬৩

প্রকাশ : ০৪ মে ২০১৯, ১৬:২৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা বরগুনার পাথরঘাটায় দুইজন এবং ভোলা ও নোয়াখালীতে একজন করে মোট চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৬৩ জন। ৪ মে (শনিবার) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থা ও প্রস্তুতি নিয়ে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ৪ মে (শনিবার) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে ঘরের নিচে চাপা পড়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়ার খাল এলাকায় দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়। মৃত নূরজাহান বেগম (৬০) কালিয়ার খাল এলাকায় আব্দুল বারেকের স্ত্রী ও তার নাতি জাহিদুল ইসলাম (৮)। ঘরের মধ্যে চাপা পড়েই নোয়াখালীর চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে নিহত হয়েছেন ১ জন ও ৩০ জন আহত। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কবলে পড়ে আনোয়ারা খাতুন (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে ফণীর কারণে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপে সারাদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। তবে মংলা ও পায়রা বন্দরে এখনো আগে থেকে দেখানো ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত আর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলা এবং এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হতে পারে। 

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত