'খুলনায় ফণী ঢুকবে দুর্বল হয়ে'

প্রকাশ | ০৩ মে ২০১৯, ১২:১৪ | আপডেট: ০৩ মে ২০১৯, ১২:২২

অনলাইন ডেস্ক

ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। ৩ মে (শুক্রবার) মধ্যরাতে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানবে ফণী। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, খুলনায় আঘাত হানার আগেই দুর্বল হয়ে পড়বে 'ফণী'র প্রভাব।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উড়িষ্যায় পূর্ণ শক্তিতেই আঘাত হেনেছে ‘ফণী’। এরই মধ্যে সেখানে শুরু হয়েছে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। ৩ মে (শুক্রবার) বিকেল নাগাদ ‘ফণী’ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে ৪ মে (শনিবার) সকালে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে শনিবার মধ্যরাত নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় আঘাত করবে। উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে ফণীর তেজ কিছুটা কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার রয়েছে, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। তবে খুলনার দিকে আসতে আসতে প্রলয়ঙ্কারী ‘ফণী’র ক্ষীপ্রতা অনেকটাই কমে যাবে।

এদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকা ছাড়াও অদূরবর্তী চর দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। 

সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যার সতকর্তায় হাওর অঞ্চলের জেলা প্রশাসকদের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রামকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজারকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সতর্ক সংকেত জারি রাখতে বলা হয়েছে।