শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ
প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০১৮, ১৫:২৫
বাংলাদেশের আকাশ থেকে ২৭ জুলাই (শুক্রবার) স্থানীয় সময় রাতে বছরের দ্বিতীয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে। এটি হবে একুশ শতকের (২০০১-২১০০) সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এর স্থায়িত্ব হবে সর্বমোট ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী, এই চন্দ্রগ্রহণের উপচ্ছায়া পর্যায় শুরু হবে শুক্রবার রাত ১১টা ১৪ মিনিটে, আংশিক চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে দিবাগত রাত ১২টা ২৪ মিনিটে, পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে রাত দেড়টায়, পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে রাত ৩টা ১৩ মিনিটে এবং আংশিক চন্দ্রগ্রহণ সমাপ্ত হবে রাত ৪টা ১৯ মিনিটে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি এই চন্দ্রগ্রহণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড থেকেও দৃশ্যমান হবে। এর আগে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি যে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল তার স্থায়িত্বকাল ছিল ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, চন্দ্রগ্রহণের সময় যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ফলে পৃথিবী থেকে মনে হয় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর হলেও চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে দেখা ক্ষতিকর নয়।
এবারের চন্দ্রগ্রহণের সময় কক্ষপথে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব সব থেকে বেশি হবে (অপসূর অবস্থান)। ফলে পৃথিবীর ছায়াটিও দীর্ঘপথ জুড়ে থাকবে। সেই দীর্ঘতম ছায়াপথটিকে অতিক্রম করতে চাঁদের বেশি সময় লাগবে। তাই এবারের চন্দ্রগ্রহণ বেশ সময় ধরে চলবে।
বিজ্ঞানবিষয়ক সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে টেলিস্কোপে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে।