লক্ষ্মীপুরে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে ফসলি জমির টপ সয়েল

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৪৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী এইচটিসি এবং দেহলা মদিনা ইটভাটার কর্তৃপক্ষ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ফসলি জমির টপ সয়েল লুটের মহোৎসব চালিয়েছে। শুধু তাই নয় ইটভাটার মালিক ও ট্রলি গাড়ির মালিকের যোগসাজসে সরকারি খালপাড়ের মাটি তোলা হচ্ছে ইটভাটায়। 

অপরদিকে ইটভাটাগুলোতে বুতামের গুড়া, তৈলের গাদ, গাড়ির টায়ার, কাঠের গুড়াসহ নিষিদ্ধ রসায়নিক দ্রব্য পোড়ানোর ধোঁয়ার গন্ধের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে। এছাড়া খালের পানিতে বর্জ ফেলায় তা কালো-তৈলাক্ত বর্ণ ধারন করেছে। সেচ প্রকল্পের আওয়াতাধীন কৃষি জমিতে ওই পানি ব্যবহার করায় ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, দেহলা মাঠে ৫০/৫৫টি ট্রলি গাড়িতে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে মদিনা ইটভাটাতে নেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা সরকারি খালের পাড়ের মাটি কেটে একইভাবে ভাটাতে তুলছে। কাটাখালী এইচটিসি ইটভাটায় ড্রেজিং মিশিন বসিয়ে সরকারি খাল সংলগ্ন স্থানে বালি তোলায় খালের পাড়, কৃষকের জমি, সেচ প্রকল্পের ড্রেন ভেঙ্গে পড়ছে এমনকি সেচ প্রকল্পে থাকায় বিদ্যুতের পিলার উপড়ে পড়েছে।

ব্রহ্মপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলু আরা বেগম বলেন, ইটভাটার ধোঁয়ার গন্ধে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছে না। অনেক সময় শিশুরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ধোঁয়ার গন্ধ এতোই খারাপ দুপুরের খাবার খেতে পারি না।

ইটভাটার মালিক আমির হোসেন মজুমদার বলেন, ভাটার মালিকেরা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, ডিসির এলআর ফান্ডে, নোয়াখালীতে পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি অফিসসহ বিভিন্ন স্তরে ৮ লক্ষাধিক টাকা দিয়ে ভাটা পরিচালনা করতে হচ্ছে। সাংবাদিকেরা লেখালেখি করলে যারা ব্যবস্থা নিবে এজন্য আমরা আগেই তাদের সাথে সুসম্পর্ক করে রেখেছি।

কাটাখালী এইচটিসি ভাটার মালিক আমির হোসেন বলেন, সেচ প্রকল্পটি আমার জমিতে। দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ্য হওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ম্যানেজ করেই কিছু নিষিদ্ধ কাঠ, গাদ, কাঠের গুড়া ব্যবহার করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, শীঘ্রই ইটভাটার অনিয়মের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত