‘বলিউডে বহিরাগত হয়ে সুবিধা হয়েছে আমার’
প্রকাশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ২১:৪৪ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ২৩:০৫
‘রব নে বনা দি জোড়ি’-তে শাহরুখ খানের বিপরীতে স্বপ্নের অভিষেক হয়েছিল তাঁর। কিন্তু বলিউডে তাঁর ৮ বছরের সফরে চড়াইয়ের পাশাপাশি রয়ে গেছে অনেক উতরাইও। তবে অনুষ্কা শর্মা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানাচ্ছেন, ফিল্মি পরিবার থেকে না আসা শাপে বর হয়েছে তাঁর ক্ষেত্রে। ফলে তাঁর ওপর এমন কোনও ব্যাগেজ ছিল না, যে অমুকের মত কাজ করতে হবে। মন ফাঁকা রেখে, খোলামেলাভাবে কাজ করতে পেরেছেন তিনি।
‘রব নে বনা দি জোড়ি’ হিট করলেও ‘বদমাশ কোম্পানি’, ‘পাতিয়ালা হাউস’, ‘বম্বে ভেলভেট’-একের পর এক ফ্লপ। ‘মাতরু কি বিজলি কা মনডোলা’-ও চলেনি। কিন্তু অন্যদিকে ‘জব তক হ্যায় জান’, ‘পিকে’ ও ‘এনএইচ টেন’-এ সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। ‘এনএইচ টেন’ প্রযোজক হিসেবেও সুদৃঢ় করেছে তাঁর পায়ের তলার মাটি। তারপর ‘সুলতান’ আর ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর সাফল্যে বলিউডে প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে নিজের জায়গা পাকা করেছেন অনুষ্কা।
অনুষ্কা মনে করেন, সব কিছুর আগে এটা বোঝা জরুরি, সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও আছে। দুয়ের মাঝের রাস্তা ধরে হাঁটাটাই শ্রেয়।
তবে তাঁর ধারণা, মহিলা শিল্পীদের পক্ষে ঝুঁকি নেওয়ার এটাই আদর্শ সময়। ‘এনএইচ টেন’ তিনি প্রযোজনা করেছেন, কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, এমন একটা গল্প বলা দরকার। শিল্পী হিসেবে এমন ছবিতে কাজ না করার ইচ্ছে হওয়া স্বাভাবিক, টাকা ঢালা তো দূরের কথা। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের ছবি হওয়া সত্ত্বেও ছবিটি ভাল চলেছে। আর একটা ছবি কেমন চলছে তা নির্ভর করছে ছবির বিষয়বস্তুর ওপর।
তারকারা সব সময় তাঁদের সৌন্দর্য আর ফ্যাশন সেন্সের জন্য মিডিয়ার নজরে থাকেন। কিন্তু অনুষ্কার কাছে সৌন্দর্য মানে স্বচ্ছন্দ হতে পারা। তিনি মনে করেন, একজনকে তখনই সুন্দর লাগে, যখন তিনি তাঁর পোশাকে স্বচ্ছন্দ। প্রত্যেকের নিজস্ব একটি স্টাইল আছে, যা তাঁকে বিশেষ করে তোলে। নিজের সেই অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বুঝতে পারাটাই আসল।
সূত্র : এবিপি আনন্দ