জিয়া খান আত্মহত্যা করেননি, খুন হয়েছেন
প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৩:৩৮
তিন বছর আগে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের। তার মৃত্যুর পর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনে বারবার এটাকে আত্মহত্যা বলা হলেও এই কথা অস্বীকার করে জিয়া খানের মা বরাবরই দাবী করেছেন যে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেননি, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এই পর্যায়ে এসে এবার নতুন মোড় নিলো তদন্ত।
পুলিশের পাশাপাশি সিবিআইও এই অভিনেত্রীকে খুন করার অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে আত্মহত্যার পক্ষেই বক্তব্য দিয়েছিলেন।
কিন্তু জিয়া খানের মা রাবিয়া খানের নিয়োগ করা ব্রিটিশ এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, জিয়াকে খুন করা হয়েছিল।
২০১৩ সালের ৩ জুন এই উঠতি অভিনেত্রীর আচমকা মৃত্যুতে বলিউডে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কারণ অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চলির ছেলে সুরজের সঙ্গে জিয়ার সম্পর্ক ছিল। ফলে এই ঘটনায় সুরজের নামও জড়িয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে মেয়ের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে বোম্বে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন জিয়ার মা রাবিয়া।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুরজের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনে সিবিআই। জিয়া খানের মা রাবিয়া খান বরাবরই দাবি করেছেন, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছিল।
কিন্তু তদন্ত চলাকালীন সরকারি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছিলেন, জিয়াকে খুন করা হয়েছে বলে কোনও প্রমাণ তারা পাননি। গতমাসে বম্বে হাইকোর্টে সিবিআই-ও খুনের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছিল।
কিন্তু সরকারি তদন্তে আস্থা না রেখে জিয়ার মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছিলেন।
সেই বিশেষজ্ঞ জেসন পেইন জেমস দাবি করেছেন, জিয়ার মৃতদেহের মুখে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। যা প্রমাণ করে, জিয়া আত্মহত্যা করেননি, তাকে খুনই করা হয়েছিল।
জিয়ার মেডিকেল এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পড়া ছাড়াও জিয়ার মৃতদেহের ছবি খতিয়ে দেখেন তিনি।
এছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজ এবং মৃত্যুর পরে জিয়ার ঘর যে অবস্থায় ছিল, সেই ছবিও খতিয়ে দেখেন ওই ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ।
এখন জিয়ার মা এই প্রতিবেদন মুম্বাইয়ের একটি আদালতে জমাও দেবার জন্য অপেক্ষা করছেন। এই প্রতিবেদন আদালত গুরুত্ব দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সূত্র: এবেলা