সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের দেখা যাবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’
প্রকাশ | ১৮ মে ২০২৩, ১৭:২৫ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৩, ২১:২১
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গত ৮ মে বিতর্কিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্ট ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষেধাজ্ঞা মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়ার ফলে ফের দেখা যাবে পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবি।
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ”শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের আবেগের উপর নির্ভর করে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা যায় না। মানুষের আবেগ নিয়ন্ত্রিত হওয়া দরকার। যদি আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে দেখবেন না। বক্স অফিসের উপর ছেড়ে দিন পুরো বিষয়টা।”
মে মাসের ৫ তারিখ মুক্তি পায় পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই এই ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ছবি মুক্তির তিন দিনের মাথায় অর্থাৎ ৮ মে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ”এই কেরালা স্টোরি, কাশ্মীর ফাইলস কিছু মানুষকে অসম্মান করার জন্যই তৈরি হয়। আমি সিপিআইএমকে সমর্থন করছি না। আমি মানুষের কথা বলছি। আমি সিপিএম পার্টির কথা বলছি না। কারণ, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে কাজ করছে। এটার সমালোচনা তো তাঁদেরই করা উচিত। কিন্তু তাঁরা তো বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। আমি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, তাঁর পার্টি বিজেপিকে সাহায্য করছে। আর সেই কারণেই কেরালা স্টোরি তৈরি হচ্ছে বিকৃত তথ্য নিয়ে।” তারপরই বাংলায় এই ছবির প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বাংলায় দ্য কেরালা স্টোরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন, তাঁরা আইনি পথে হাঁটবে। সেই সময় সুদীপ্ত জানিয়েছিলেন, ”এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবি না দেখেই নিষিদ্ধ করেছেন। বাংলায় এই ছবি দেখানোর জন্য কোথাও, কোনওরকম সমস্যা হয়নি। এই ছবি নিষিদ্ধ করার নেপথ্যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব ছাড়া আর কিছুই নয়।” এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছবিটা দেখার অনুরোধও করেছিলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষেধাজ্ঞা মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ”রাজ্য সরকার আশঙ্কা করেছিলেন, সমাজে প্রভাব পড়তে পারে এমন কিছু ঘটনা এতে বাজেভাবে দেখানো হয়েছে। তাই এটায় সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আরেকটি রাজ্যেও এর প্রভাব পড়েছে। এবার কোর্ট বলেছে করা যাবে না। এবার রাজ্য সরকারের আর দায়িত্ব রইল না।”