ভাষা দিবসে সীমান্তে গাইবেন নূরজাহান-নোবেল-পৌষালী

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৪৮

অনলাইন ডেস্ক

যশোরের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের স্মরণে এবার সীমান্তে গাইবেন জি-বাংলা ‘সা রে গা মা পা’ কাঁপানো সঙ্গীত শিল্পী মইনুল আহসান নোবেল, প্রয়াত লোক সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল আলীমের কন্যা সঙ্গীত শিল্পী নুরজাহান আলীম ও ভারতের জি বাংলা খ্যাত সঙ্গীত শিল্পী পৌষালী ব্যানার্জী ও সহকারী শিল্পীরা।

‘আমার প্রতিরোধ আমার সংগ্রাম আমার স্বাধীনতা আমার অধিকার আমার ৫২ আমার বর্ণমালা’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোল ও পেট্রাপোল সীমান্তের শূন্যরেখায় এক মঞ্চে বসছে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা।

বাংলাদেশের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী, যশোরের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার মঈনুল হক প্রমুখ।

ভারতের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বনগাঁ লোকসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর, রাজ্যসভার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি শ্রীমতি বীনা মন্ডল, বনগাঁ পৌর মেয়র শংকর আঢ্য প্রমুখ।

আরও উপস্থিত থাকবেন ভাষা সৈনিক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক এস আর মাহবুব, আবৃত্তি শিল্পী শাহদত হোসেন নিপু প্রমুখ।

দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে থাকছে ভাষা শহীদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, পতাকা বিনিময়, দুই বাংলার বিশিষ্টজনদের মধ্যে ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও ফুলেল শুভেচ্ছা, অতিথি আপ্যায়ন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মঞ্জু জানান, ২০০৪ সালে বেনাপোল সরগম সংগীত একাডেমি ও ভারতের বঁনগা ২১ পালন কমিটি দুই বাংলার যৌথ একুশ পালনের এই যাত্রা শুরু করে। এরপর ২০১২ সাল থেকে বেনাপোল পৌরসভা ও বনগাঁ পৌরসভা যৌথভাবে এই আয়োজন করে আসছে। তবে এবার জাতীয় সংসদ সদস্যের আয়োজনে বেনাপোল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন পরিষদের ব্যানারে দুই বাংলার মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।