১৬ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ (ভিডিও)

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:১৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের দুঃখ-বিষাদ, ব্যক্তিগত আখ্যান, আর নৈকট্যের গল্পগুলোকে নিয়ে তৈরি করা ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

আগামী ১৬ নভেম্বর চলচ্চিত্র পরিচালক পিপলু চৌধুরী নির্মিত ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ চলচ্চিত্রটি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দেশের চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এতে একটি স্বাধীন ও তাৎপর্যময় দৃষ্টিভঙ্গির মধ্য দিয়ে তিনি তুলে ধরেছেন একজন অনন্য নায়কের জীবনের আরেক অধ্যায়, যা তার একান্ত ব্যক্তিগত হয়েও একটা জনপদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।

গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয় মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘অ্যা ডটারস টেল’-এর ট্রেলার! দুই মিনিট ৪৮ সেকেন্ড ব্যাপ্তির ট্রেলারটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষ থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও রাজনীতিকরাও তাদের টুইটার, ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন! সেদিন থেকেই চলচ্চিত্রটির জন্য দিন গুণছেন সবাই। এবার বোধহয় সেই অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে।

৯ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’-এর মুক্তি প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘আগামি ১৬ নভেম্বর আমরা ছবিটি মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকায় বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও মধুমিতায় ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আর রাজধানীর বাইরে ছবিটি চট্টগ্রামের মিনিপ্লেক্সে দেখানো হবে। আপাতত এই চারটি প্রেক্ষাগৃহেই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।’

ছবিটি নিয়ে পরে যদি কারো আগ্রহ থাকে তাহলে পরবর্তীতে দেশের যে কোনো হলে ছবিটি মুক্তি দিতে কোনো আপত্তি নেই বলেও জানান পিপলু চৌধুরী।

‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ মূলত ডকু-ড্রামা। যার ট্রেলার প্রকাশ হওয়ার পর পরই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। ‘হাসিনা’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে নির্মাতা জানান, ‘কখনো তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, কখনো জননী, কখনো বোন, কখনো গণমানুষের ত্রাতা রূপে আবির্ভূত হন যে জননেত্রী তার একটি প্রতিকৃতি এই চলচ্চিত্র।’

৭০ মিনিটের ডকু-ড্রামায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালা বদলের ইতিহাসও উঠে আসবে জানিয়ে পিপলু বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রবাহকে প্রতিনিধিত্ব করেন শেখ হাসিনা। আর তাই তার উত্থান নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সিনেমাটিতেও প্রতিফলিত হয়েছে এই ধারণাগুলো, যেখানে উঠে এসেছে সেই রাজনৈতিক পালা বদল আর রক্তাক্ত ইতিহাসের কথা, যার পরতে পরতে রয়েছে অশ্রু আর ক্ষরণ।

চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।

চলচ্চিত্রটির সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে ছিলেন সাদিক আহমেদ। সম্পাদনায় ছিলেন নবনীতা সেন এবং সংগীতে আছেন ভারতের বিখ্যাত মিউজিশিয়ান দেবজ্যোতি মিশ্র। ইতিমধ্যে এই ডকু-ড্রামায় তার গাওয়া ‘আমার সাধ না মিটিলো’ গানটির চারদিকে জয়জয়কার।

নির্মাতা জানিয়েছেন, ‘ছবি মুক্তির আগে একটি প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত