পরীমনিকে অপহরণের চেষ্টা, ৩ জন গ্রেফতার
প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৫৮
সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে শ্যুটিংকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে রামু থানা পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার বাংলাবাজার মৌলভীপাড়ার হামিদুল হক ওরফে হামিদ (২৪), রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের মুসলিমাবাদ এলাকার ফয়েজ আলমের ছেলে কাউসার আলমগীর ওরফে আরাফাত (২৭) ও কোলাপাড়া টুলটুলি এলাকার আফজাল ভুইয়ার ছেলে সজীব ভুইয়া ওরফে সেলিম (২৭)।
জানা গেছে, রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িতে 'রক্ত' নামের একটি ছবির শুটিং করছিলেন পরীমনি। শ্যুটিং হচ্ছিল মিঠাছড়ির অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবের শ্যুটিং স্পটে।
সেখানে মেলার একটি সেট বানিয়ে দিনব্যাপি শ্যুটিং হয়। বৃহস্পতিবার রাতেও শ্যুটিং হচ্ছিল। রাত ৮টার দিকে শ্যুটিং শেষে একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিতে হামলা করে। তারা পরীমনিকে তুলে নেয়ার উদ্দেশ্যে হানা দেয় বলে জানা গেছে।
দুর্বৃত্তদের হামলায় শ্যুটিং ইউনিটের সদস্য সুমি ও রফিকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের কক্সবাজার সদর এবং লিংকরোডস্থ কক্সবাজার মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে।
এসব ঘটনা জানিয়েছেন রক্ত ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রোডাকশন ম্যানেজার উজ্জল। যদিও রাতের অপহরণের ঘটনা-সংক্রান্ত কিছুই জানতেন না নায়িকা পরীমনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিমনি বলেন, ‘আমি আসলে এ ঘটনার কিছুই জানি না। সকালে ইউনিটের লোকজনের কাছে শুনেছি। রাতে মেলার শ্যুটিং করেছি। ওখানে অনেক লোকের সমাগম ছিল। এরই মাঝে দুর্বৃত্তরা আমাকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে বলে শুনেছি’।
পরীমনি বলেন, ‘হয়তো শ্যুটিংয়ে ব্যাঘাত ঘটবে বলে রাতে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। সকালে স্পটে পুলিশের উপস্থিতি দেখে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি’।
একজন চিত্রনায়িকাকে অপহরণ করার লক্ষ্যে হামলা করা হয়েছে, অথচ যাকে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে তিনি সেটার কিছুই জানেন না- বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্যুটিং ইউনিটের লোকজনও বিস্তারিত মুখ খুলছেন না। যদিও নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় লোকদের সঙ্গে এই শ্যুটিং ইউনিটের লোকজন দুর্ব্যবহার করেছেন। সে কারণে স্থানীয় কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে উঠে। এটাকে শ্যুটিং সংশ্লিষ্টরা অপহরণ নাটক সাজিয়ে পুলিশে খবর দেয়।
রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও ধরা হবে। এ ঘটনায় রামু থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।