'উচ্ছেদের জন্যই রোহিঙ্গা নারীদের যৌন আক্রমণ'
প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৮
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করতে এই জনগোষ্ঠীর নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন হলিউডের নন্দিত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
কানাডার ভ্যানক্যুভারে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কমিটি ও বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে মূল বক্তা ছিলেন জোলি। সেখানে যৌন সহিংসতাকে তিনি নিপীড়কদের হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। জোলি বলেন, ‘ধর্ষণ ও লাঞ্ছনা করা হয় পরিকল্পনা থেকে। অবমাননা ও ভীতি ছড়িয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করাই থাকে এর উদ্দেশ্য। এর মধ্যে যৌন চাহিদার কোনো সম্পর্ক নেই। ক্ষমতার অপব্যবহারই এখানে মূল কথা। এটি অপরাধমূলক আচরণ।’
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় প্রত্যেক নারী ধর্ষণের শিকার বলে জানাচ্ছে জাতিসংঘ। এ প্রসঙ্গে জোলির ভাষ্য, ‘ধর্ষণ নামের অস্ত্রটি বুলেটের চেয়েও সস্তা। কিন্তু এর প্রভাব ও স্থায়িত্ব ব্যাপক।’
সহিংসতা ও সংঘাতের পেছনে ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসেবে নেওয়ার বিরোধিতা না করায় বিশ্বনেতাদের সমালোচনা করেছেন জোলি। তিনি মনে করেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের পূর্ণ মানবাধিকার অর্জনে যৌন সহিংসতা বড় বাধা। তাই যৌন সহিংসতা বন্ধে ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন ৪২ বছর বয়সী এই তারকা।
হলিউডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন জোলি। হলিউডের প্রযোজক হার্ভে ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে যে অভিনেত্রীরা প্রথম মুখ খুলেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে, তিনি তাদেরই একজন। তার ভাষ্য, ‘নারীদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে মামুলি অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। যারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তেমন মানসিকভাবে অসুস্থ কিংবা যৌন চাহিদা পূরণে মরিয়া পুরুষরা এসব করলেও তাদের নিয়ে হাসাহাসি হয় না।’
জোলির আশা, একদিন এ অবস্থার পরিবর্তন হবে। তিনি বলেছেন, ‘কাজটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। আমাদের কাছে আইন, সংবিধান সবই আছে। আমরা অপরাধীদের চিহ্নিত করতেও সক্ষম। শুধু রাজনৈতিক ইচ্ছাটাই নেই।