শেষ হলো ১৬ দিনব্যাপী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব
প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:০২
৪৪টি চলচ্চিত্র নিয়ে ৬ থেকে ২১ অক্টোবর ১৬ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবে মেতেছে ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলা। এবারের উৎসবে ৭ সদস্য বিশিষ্ট সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে ৫টি বিভাগে যথাক্রমে- বাংলাদেশ ধ্রুপদী চলচ্চিত্র, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র, সমকালিন দেশীয় চলচ্চিত্র (২০১৫-২০১৬) এবং নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র স্থান পায়।
২১ অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৭’ এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, চলচ্চিত্র নির্মাতা মহিউদ্দিন শাকের, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক বদরুল আনম ভূঁইয়া।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শুরুতেই একাডেমির পরিবেশনায় অষ্ট নায়িকা ও উড়ন্ত পাখি শিরোনামে দুটি দলীয় নৃত্য পরিবেশিত হয়।
উৎসবে জমাকৃত সমকালিন চলচ্চিত্র (২০১৫-২০১৬) থেকে ১১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য চুড়ান্ত করা হয়।
এতে উৎসবের প্রদর্শিত সমকালীন ১১টি চলচ্চিত্র নিয়ে বিশেষ প্রতিযোগিতা বিভাগের নির্মাতাদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই বিভাগে জুরি কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে ৩টি শাখায় প্রদান করা হয়। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারটি পেয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি অজ্ঞাতনামা। শ্রেষ্ঠ নির্মাতার পুরস্কার পেয়েছেন তৌকীর আহমেদ। শ্রেষ্ঠ জুরি পুরস্কার জয় করেছে রুবাইয়াত হোসেন নির্মিত ছবি আন্ডার কনস্ট্রাকশন। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার হিসেবে ২ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ নির্মাতাকে ১ লাখ টাকা এবং বিশেষ জুরি পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতাকে প্রদান করা হয় ৫০ হাজার টাকা।
শনিবার বেলা ১১টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার রুমে ড. সাজেদুল আউয়ালের উপস্থাপনায় ‘ধ্রুপদী চলচ্চিত্র : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অনিল বাগচীর একদিন’ প্রদর্শিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় চলচ্চিত্র আড্ডা ও চা-চক্র এবং পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে রাত ৮টায় ‘শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র’ হিসেবে পুরস্কৃত চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। এছাড়া ঢাকাসহ প্রত্যেক বিভাগের একটি জেলায় সেমিনারের আয়োজন করা হয়।