পুরুষদের নগ্ন করে বিজ্ঞাপনে পাল্টা যৌনতা
প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:০৯ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:১১
বিজ্ঞাপনে নারী শরীরকেই পণ্য করে তোলা হয়। এ অভিযোগ নতুন নয়। এবার পাল্টা যৌনতার ছোঁয়া এক বিজ্ঞাপনে। যেখানে স্যুট পরিহিতা নারীদের পিছনে নগ্ন করা হয়েছে পুরুষদেরই। তাদের পরিচিতি অবশ্য ফাঁস করা হয়নি। তবে পরিকল্পিতভাবে পণ্য করে তোলা হয়েছে নগ্ন পুরুষ শরীরকেই।
সুইসস্টুডিও নামে এক পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থার বিজ্ঞাপন এটি। নারীদের জন্য স্যুট তৈরি করে এই সংস্থা। তাদেরই এই অভিনব বিজ্ঞাপনে এখন ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। এ পর্যন্ত নারীশরীরকেই বিজ্ঞাপনে পণ্য করে তোলা হয়েছে। পুঁজিচালিত সভ্যতার এও এক বিকৃতি। তাই নগ্নতাও বিক্রি হয়। অনেক চেষ্টা করে সেই নগ্নতার উপর সৃষ্টিশীলতা ও শিল্পের আরোপ দেওয়া হয় বটে। কিন্তু নারী নগ্নতার ওই যথেচ্ছ ব্যবহার সর্বদাই শিল্পিত নয়। বরং এমনভাবে তা ব্যবহার করা হয়, যাতে এই পণ্যায়নের উদ্দেশ্য গোপন থাকে না। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ, ব্যাপক সমালোচনা ও আলোচনা। কিন্তু পণ্য সভ্যতার ট্রেন্ড বদলায় না।
মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এই সংস্থার বিজ্ঞাপন। যৌনতাকেই পণ্য করে তোলা হয়েছে, তবে এখানে বেছে নেওয়া হয়েছে পুরুষশরীরকে। গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে কোনও পুরুষেরই মুখ দেখানো হয়নি। অর্থাৎ পরিচিতি এখানে জরুরি নয়। শুধু পণ্য করা হয়েছে তাদের নগ্ন শরীরকে।সংস্থার ট্যাগলাইন, #NOTDRESSINGMEN, একই সঙ্গে দুটি অর্থ বহন করছে।
বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় তো বটে নেটদুনিয়াতেও এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক। কোনও কোনও মহলের বক্তব্য, সেই নগ্নতাকেই যখন পণ্য করে তোলা হল, তখন স্টিরিওটাইপ ভাঙল কোথায়! এ তো ‘চোখের বদলে চোখ’ তত্ত্বেরই নামান্তর মাত্র। অন্যদিকে আরেক মহলের জোরাল দাবি, নারীশরীরকে যখন এতদিন উন্মুক্ত করা হত তখন তো কোনও প্রতিরোধ ছিল না। সকলেরই তা চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছিল। এখন পুরুষকে নগ্ন করা হল বলেই এত বিতর্ক? বিতর্ক যদি হয়েই থাকে তবে নগ্নতাকে পণ্য করে তোলা নিয়ে গোড়া থেকে প্রতিবাদ করা হোক। আপাতত এই মন্তব্য ও পালটা মন্তব্যেই সরগরম নেটদুনিয়া।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন