মেডিকেলে ভর্তিতে নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:০৭
২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তির মেধা তালিকা তৈরির সময় দ্বিতীয়বারের পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কেটে নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দ্বিতীয়বার অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছিল।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। অন্যদের কাটা হবে না। এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০১০ এর চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে। সুতরাং সরকার আগের বছর পাস করাদের থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা শিক্ষনীতির পরিপন্থী।