রাবিতে হল খোলা কিন্তু ডাইনিং বন্ধ!
প্রকাশ | ২৮ মে ২০১৭, ২২:৪৮
গ্রীষ্মকালীন, রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত শনিবার থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ৩৪ দিনের দীর্ঘ ছুটি শুরু হয়েছে। কিন্তু ছুটি শুরু হলেও আবাসিক হলগুলো বন্ধ হয়নি। তবে ছুটি শুরুর প্রথম দিন থেকেই হলের ডাইনিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে খাবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। রোজা শুরু হওয়ায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ মে থেকে ৩৪ দিনের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত হল বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসন কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে গত শনিবার হলগুলোর ডাইনিং বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধের মধ্যেও কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা চলছে, এর মধ্যে মার্কেটিং বিভাগের পরীক্ষা শেষ হবে ১৮ জুন। রবিবার থেকে রোজা শুরু হওয়ায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবার নিয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে।
ডাইনিং বন্ধের পাশাপাশি অধিকাংশ হলের ক্যান্টিনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেহরি ও রাতের খাবার নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের। বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর, কাজলা, স্টেশন বাজারের হোটেলগুলোতে বেশি দামে নিম্নমানের খাবার খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এই সুযোগে হোটেল মালিকরা ইচ্ছা মতো খাবারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
খাবার নিয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ছাত্রীদের। কয়েকটি ছাত্রী হলের ডাইনিং বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলোও শীঘ্রই বন্ধ হবে বলে জানা গেছে। এদিকে সন্ধ্যা সাতটার পর ছাত্রীদের হলের বাহিরে থাকা নিষেধ থাকায় রাতের ও সেহরীর খাবার নিয়ে সব চেয়ে বেশি বিপাকে আছেন তারা।
ডাইনিং বন্ধের সিদ্ধান্তকে শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিক মনে করছেন। তারা বলছেন, অনেকে টিউশন করায় বলে হলে থাকে। অনেকের পরীক্ষা চলছে। এমন অবস্থায় হলের ডাইনিং বন্ধ করা হয়েছে। ডাইনিং বন্ধ থাকলে আমরা পরীক্ষার সময় রান্না করব না কি পরীক্ষার পড়া পড়ব? তার ওপর রোজা শুরু হয়েছে। বাহিরের নিম্নমানের খাবার খেয়ে রোজা রাখতে হচ্ছে। এটা একেবারেই অযৌক্তিক।
মন্নুজান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলে খাবার বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ সাতটার মধ্যেই আমাদের হলে ফিরতে হয়। তারওপর রোজা শুরু হয়ে গেছে। এখন খাবার নিয়ে বেশি সমস্যায় ভুগতে হবে।
ডাইনিং সংশ্লিষ্টরা জানান, হলে শিক্ষার্থী খুব বেশি নেই। অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী দিয়ে ডাইনিং চালানো সম্ভব নয় বলে ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম আনিসুর রহমান বলেন, হলে শিক্ষার্থী কম থাকলে ডাইনিং যারা চালায় তাদের লোকসান গুনতে হয়। এজন্য ডাইনিং শ্রমিকদের ফেডারেশন আমাদের কাছে ডাইনিং বন্ধের আবেদন করেছে। তাছাড়া অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য ডাইনিং চালাতে গেলে খাবারের মান ভালো থাকে না। সেজন্য ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে।