লিপার মেধা বিকাশে বাধা দারিদ্র্য
প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:৪৯ | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:৩৩
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রাম গ্রামের অতিদরিদ্র পরিবারের মেয়ে লিপা মনি। সে এবারের জেএসসি পরীক্ষায় আলহাজ্ব শমসের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণ করে গোল্ডেন-এ+ পেয়েছে। লিপা মনি এ ফলাফল অর্জন করলেও সামনের দিকে তার মেধা বিকাশে বাঁধা দরিদ্রতা।
লিপা’র পিতা আকবর আলীর পৈত্রিক নিবাস ছিল উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামে। কিন্তু তিস্তা নদীর করালগ্রাসে দুই বছর আগে সর্বস্ব হারিয়ে পরিবারটি আশ্রয় নেয় পশ্চিম বেজগ্রামের এক আত্মীয়র বাড়িতে। সেখানেই রয়েছে তাদের মাথাগোছার ঠাঁই। তার পিতা আকবর আলী বর্গাচাষ করে যে উপার্জন করেন তা দিয়ে ৬ সদস্যের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তার পরও ৪ মেয়েকে অতিকষ্টে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বড় মেয়ে লাকী খাতুন হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী, ২য় মেয়ে কল্পনা খাতুন লালমনিরহাট সরকারি কলেজে অনার্স ১ম বর্ষে, ৩য় মেয়ে লতা খাতুন হাতীবান্ধা মডেল কলেজে ১ম বর্ষে পড়েন আর ছোট মেয়ে লিপা মনি এবারের জেএসসিতে পেয়েছে গোল্ডেন জিপিএ-৫।
লিপা মনির পিতা আকবর আলী বলেন, এক সময় অনেক সহায় সম্পত্তি থাকলেও তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে সর্বম্ব হারিয়ে এখন অসহায়। এক দিকে পরিবারের লোকজনের ভরণ পোষন অপর দিকে ৪ মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগানো কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। জানি না তাদের লেখাপড়ার খরচ আর কতদিন চালিয়ে যেত পারবো। ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন লিপা মনি। কিন্তু দরিদ্রতাকে জয় করে কতটুকু অগ্রসর হতে পারবেন সেটাই তার দু:চিস্তা।
আলহাজ্ব শমসের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মাদ বাবলু বলেন, লিপা মনি শিক্ষার্থী হিসেবে মেধাবী। সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে তার স্বপ্ন পুরণ সম্ভব।