ঢাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ
প্রকাশ | ০৭ জুন ২০১৬, ০২:৫১
তনু হত্যা, বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে ৬জনকে হত্যার বিচার ও যবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের উদ্যোগে ৬ জুন (সোমবার) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে বাণিজ্য অনুষদ, কলাভবন ঘুরে কলাভবন ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা। পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উৎসব মোসাদ্দেক। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন, ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সোহেল।
সমাবেশে নাঈমা খালেদ মনিকা বলেন, “আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সারাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। প্রতিদিনই গুম-খুন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। জানুয়ারি ২০০১ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৪ পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত ২০ মার্চ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় খুন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু। সবচেয়ে নিরাপদবলয়ে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত দোষীরা সনাক্ত হয় নি। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ভুল দেয়া হয়েছে, এত দিন পরেও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেয়া হয় নি। পরিবারের ফরিয়াদ বা জনগণের দাবি কোন কিছুই কর্তৃপক্ষ তোয়াক্কা করছে না। একটা অন্যায় ঘটছে, বিচার হচ্ছে না। এই বিচারহীনতা আরেকটি অন্যায়ের প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে বর্তমানে গুম-খুন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। চট্টগ্রামে এসপির স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার কাজে নিয়োজিত পুলিশ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ তো বটেই, আমরা দেখেছি চট্রগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতেই ৬ জন নিহত হয়েছে। তারপরও সরকার বলছেন আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আছে”।
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী সরকারই আজ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যৌন নিপীড়কের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছিল, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর মামলা ও বহিষ্কার করে আন্দোলন নস্যাৎ করা হয়েছে”।
অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের উপর থেকে মামলা-বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ এই সমস্ত ঘটনার বিচার ও দোষীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় সয়াবেশ থেকে।