'শিক্ষক হত্যা স্বৈরশাসনের প্রমাণ'
প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০২:০০ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ০২:১১
ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে পুলিশের আঘাতে শিক্ষক নিহত হবার ঘটনাকে এই সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক ও জনতা হত্যার বিচার এবং অবিলম্বে কলেজকে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশে এই কথা বলেন বক্তারা।
ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলেন, এ সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে শিক্ষক ও পথচারীকে হত্যা করেছে। এসব হত্যা তাদের স্বৈরশাসনের প্রমাণ। এ সরকার প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে নিজের করে নিয়েছে। শিক্ষক-পথচারী হত্যায় ডাক্তার বলছে পুলিশের আঘাতে মারা যায়নি। অথচ সবাই জানে পুলিশের হামলায় তারা মারা গেছে।’
তারা বলেন, ফুলবাড়িয়া কলেজে ৫৩০০ জন শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কলেজকে জাতীয়করণ করেনি। অথচ একই এলাকায় শেখ পরিবারের নাম জড়িত থাকায় ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজকে সরকারি করেন।
সরকারকে উদ্দেশ্যে করে বক্তারা বলেন, আর কত গুম-হামলা করলে আপনারা ক্ষমতা ছাড়বেন।’ পুলিশকে লক্ষ করে বলেন, ‘আপনারা কোনো দলের বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নয়। রাষ্ট্রের কর্মকর্তা। জনগণের সহায়তায় কাজ করুন। দেশের সেবা করুন।
বিক্ষোভ সমাবেশে এ সময় বাংলাদেশে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকি আক্তার, সহ-সভাপতি লিটন নন্দী, সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সেন গুপ্ত সহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একই দাবিতে ৩০ নভেম্বর, বুধবার বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অপরাজেয় বাংলার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করার কর্মসূচী ঘোষণা করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর রবিবার ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় আহত উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে মারা যান। পুলিশের লাঠিচার্জে শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে এমন দাবি করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাটকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।