রাবি শিক্ষক আত্মহত্যা: সহকর্মীর প্ররোচনার প্রমাণ
প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০১৬, ১২:২৯ | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:০০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আখতার জাহান জলির আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহকর্মী আতিকুর রহমানের প্ররোচনার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আকতার জাহানের ফোনকল এবং ক্ষুদেবার্তা যাচাই-বাছাই করে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আল আমীন হোসেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আতিকুরকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুরের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে তারা।
এ ব্যাপারে আল আমীন হোসেন বলেন, আতিকুর সাহেবের সঙ্গে জলির অনেকদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। শেষের দিকে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। একপর্যায়ে এটা দ্বান্দ্বিক রুপ নিলে জলি ম্যাডাম প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা করেন। আমরা আতিকুর সাহেবের কর্মকাণ্ডে প্ররোচনার প্রমান পেয়েছি। তিনি চাইলে হয়তো জলিকে আত্মহত্যার পথ থেকে সরিয়ে আনতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আতিকুরকে আটক করা হয়েছিল। আকতার জাহানের ফোনকল ও ক্ষুদেবার্তার লিস্ট উদ্ধারের পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে এবং আতিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে এই আত্মহত্যার পেছনে তার জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। শনিবার বিকালে এই মামলায় আতিকুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে নিজ কক্ষ থেকে আকতার জাহানের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। সুইসাইড নোটে কাউকে দায়ী না করলেও শারীরিক ও মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করেন। তবে একমাত্র ছেলের উত্তরাধিকার যাতে সাবেক স্বামী না পায় সেজন্য সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ছেলের গলায় ছুরি ধরার অভিযোগ উত্থাপন করেন তিনি। এর পরদিন আকতার জাহানের ভাই কামরুল হাসান বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।