সাইকেল র্যালিতে বাধা ও হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের নিন্দা
প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৪৫ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬, ০১:৫০
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবন বাঁচানোর দাবিতে সাইকেল র্যালিতে পুলিশী বাধা, জলকামান ও ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
ছাত্র ইউনিয়নের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুন্দরবন বাঁচানোর দাবিতে সাইকেল র্যালি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টায় শুরু করতে আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়। র্যালিতে বাধা দেওয়ার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ছাত্রলীগ ও পুলিশ। র্যালিতে বাধা দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ পুলিশ সহযোগে শহীদমিনার ঘিরে রাখে এবং আন্দোলনকারীদেরকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। বাধা পেরিয়ে র্যালি মেডিকেল কলেজের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ জলকামান দিয়ে হামলা চালায়। দফায় দফায় র্যালিতে হামলা করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় হাত ভেঙে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আশিকের এবং আহত হয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদা খাঁ সহ বিশজনের অধিক আন্দোলনকারী। র্যালিতে সাইকেলসমূহকে পুলিশ ভ্যানে করে ধাওয়া দেওয়া হয়, এছাড়া বেশ কিছু সাইকেল ভেঙে ফেলা হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লাকী আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ।
নেতৃবৃন্দ বলেন “প্রতিমূহুর্তে সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারীদের বাধা দিয়ে নিজেদের গণবিরোধী অবস্থান পরিষ্কার করছে সরকার এবং তার লেজুর ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সংগঠনসমূহ। ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ, বাস্তুসংস্থান এবং উপকূলীয় জনজীবনের রক্ষা প্রাচীর মহাপ্রাণ সুন্দরবনকে রক্ষার গণদাবিকে পেশীশক্তি দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করে আজ সরকার ও তার লেজুররা প্রমাণ করেছে যে তারা গণদাবি এবং গণতন্ত্রকে ভয় পায়। জাতিসংঘ এবং ইউনেস্কোর সদস্য হয়েও সরকার, দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সকল বিজ্ঞানী, পরিবেশবীদ এবং সাধারণ জনগণের অনুরোধকে পাত্তা দিচ্ছেনা অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ধৃষ্টতায়। বিএনপি সরকারও পারেনি নিঃস্ব মানুষের চাষের জমি কেড়ে নিয়ে উন্মুক্ত পুদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করতে গণশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে। গণআন্দোলনের চূড়ায় উঠে মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে ঢেকে দিয়েছে কয়লার কালো স্তর। ঠিক তেমনি আওয়ামী সরকারও পারবে না জনগণের প্রাকৃতিক রক্ষা প্রাচীর সুন্দরবনকে উন্নয়নের নামে ধ্বংস করতে।
নেতৃবৃন্দ জনগণের প্রতি ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থেকে থাকলে অবিলম্বে সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের জন্য সরকারকে আহ্বান জানান।