ছাত্রলীগ পরিচয়ে ২ ছাত্রী ‘র্যাগিং’
প্রকাশ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৩:৫৩
রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রীনিবাসের দুই শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে সাত ছাত্রী তাঁদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। গত সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত দুই ছাত্রী বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্তে কলেজের গ্যাস্ট্রোএনট্রোলজি বিভাগের শিক্ষক নুরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটিকে শনিবারের (০৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
র্যাগিংয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত কি না, তা তদন্তে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ আলাদা তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে। ওই কমিটির প্রধান হচ্ছেন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সামসুল আরেফিন।
কলেজের অধ্যক্ষের কাছে দেওয়া দুই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তৃতীয় বর্ষের (নতুন) ওই দুই ছাত্রী ছাত্রীনিবাসের ২৫ ও ২৬ নম্বর কক্ষে থাকেন। সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে ছাত্রীনিবাসের সাত শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে ওই দুই ছাত্রীর কক্ষে ঢুকে তাঁদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। তাঁরা রাতভর দু’জনকে দাঁড় করিয়ে রাখেন। দু’টি কক্ষের সব জিনিস ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগের নেতারা। পরদিন সকালে নির্যাতিত ছাত্রীরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর দিন মঙ্গলবার অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করে নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
রংপুর মেডিকেল কলেজে ছেলেদের জন্য তিনটি ও মেয়েদের জন্য একটি ছাত্রাবাস রয়েছে। এগুলোর সুপারের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক সারওয়াত হোসেন চন্দন জানান, ‘বিষয়টি জানার পর আমি ছাত্রীনিবাসের ওই দুই কক্ষ পরিদর্শন করে সিলগালা করে দিয়েছি। নির্যাতিত দুই শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সাত ছাত্রী ছাত্রলীগের পরিচয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানোর পর দুই কক্ষেরই সবকিছু তছনছ করেছে। বিষয়টি দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক ‘
কলেজ কর্তৃপক্ষের করা তদন্ত কমিটির সদস্য ও ছাত্রীনিবাসের তত্ত্বাবধায়ক তামান্না হামিদ জানান, ‘আমরা তদন্তের কাজ শুরু করেছি। শনিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।’