এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাড়ে ১৩ লাখ

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০১৯, ১৪:১৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গতবারের চেয়ে এবার ৪০ হাজার ৪৮ জন বেশি পরীক্ষা দেবে। 

২৫ মার্চ (সোমবার) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  জানান, গত বছর ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে তিন শতাংশের বেশি। এবার সারাদেশের ৯ হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৫৭৯টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১১৮টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ৩৮টি। 

এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৭ শিক্ষার্থী এইচএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৮৮ হাজার ৪৫১ জন আলিম, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ জন এইচএসসি বিএম এবং ৪৩ জন ডিআইবিএস পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। 

এবার মোট ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন ছাত্র ও ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। এ ছাড়া এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ২৭৫ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। তাদের মধ্যে ১২৭ জন ছাত্র ও ৪৮ জন ছাত্রী। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত হবে এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে। 

শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে নির্ধারিত আসনে বসতে হবে। 'অনিবার্য কারণে' কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও দেরির কারণ উল্লেখ করতে হবে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্নিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে পাঠাবেন।

এবারও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী ও হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন। এ ছাড়া অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা পাবেন অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমন একটি ফোন ব্যবহার করবেন, যা দিয়ে ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারীরাও কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহনের কাজে কালো কাচের মাইক্রোবাস বা এ ধরনের কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত