ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষ ও শাখা প্রধানের জামিন
প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৩৪
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার সাবেক প্রধান জিনাত আক্তারের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
১৪ জানুয়ারি (সোমবার) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে মামলার এজহারভুক্ত তিনজনের জামিন মঞ্জুর হলো।
পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ ডিসেম্বর স্কুলে মা-বাবার অপমান সহ্য করতে না পেরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী।
মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন গত ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষায় অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রির বাবা-মাকে ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসময় অরিত্রীর সামনেই তার মা-বাবাকে অপমান করেন স্কুলের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস। অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অরিত্রী।
মামলাটি এখন তদন্তাধীন রয়েছে। আগামি ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।