তৃতীয় দিনেও বিক্ষোভে ভিকারুননিসার ছাত্রীরা

৬ দফা দাবীর সবগুলো বাস্তবায়নের জন্য টানা তৃতীয় দিনের মতো স্কুল ফটকে বিক্ষোভ করছেন রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা। 

৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২ তার দিকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিক্ষোভরত ছাত্রীরা।

তারা জানান, অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শাখাপ্রধান ও তার এক শ্রেণি শিক্ষককে চিহ্নিত করে বরখাস্ত করায় তারা সন্তুষ্ট। কিন্তু আরও বেশ কিছু দাবী তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, যেগুলো পূরণ না হলে তারা ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে না, আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এদের মধ্যে-পরিচালনা কমিটির সদস্যদের পদত্যাগ এবং অরিত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য প্রকাশ্যে কর্তৃপক্ষের ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি রয়েছে। তারা দ্রুত এই দুটি দাবির বাস্তবায়ন দেখতে চায়।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবীর মধ্যে রয়েছে-আন্দোলনকারী কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া, শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হবে না-এমন নিশ্চয়তা দেয়া, কথায় কথায় শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের হুমকি না দেওয়া, প্রত্যেক ক্লাসে মনোবিদের ব্যবস্থা রাখা প্রভৃতি দাবির বিষয়ে তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন। 

এসব দাবী তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও পাঠাবে। দাবী মেনে না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর অপমানে শান্তিনগরের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রভাতী শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী। ঘটনার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এ ঘটনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শাখাপ্রধান ও এক শ্রেণিশিক্ষককে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হচ্ছেন অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনা। এরই মধ্যে ঐ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত এবং তাদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ বাতিল করা হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।