ভিকারুননিসা স্কুলের বুধবারের সব পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:১৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

নবম শ্রেনীর ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় বুধবারের​ সব পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সহপাঠীর আত্মহত্যার ঘটনায় দিনভর বিক্ষোভ করে সন্ধায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা। এখানেও শিক্ষার্থীদের শ্লোগান ছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিস। বিকেলে ৫ টার দিকে তারা আগামী ৫ ডিসেম্বর বুধবারের সব পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়। সেই সাথে বুধবার সকাল ১০টায় কলোব্যাজ ধারণ ও ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান, প্রচলিত আইনে সহপাঠীর আত্মহত্যার বিচার এবং গভর্নিং বডিসহ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবির কর্মসূচি দেয় শিক্ষার্থীরা।

এ প্রসঙ্গে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আনুশকা বলেন, বুধবারের সব পরীক্ষা বর্জন ঘোষণা করছি। যদি পরীক্ষা নেওয়া হয় তাহলে আমরা তা হতে দেবো না। আমাদের সহপাঠীকে হারিয়েছি। আর কাউকে এভাবে অকালে হারাতে চাই না। 

অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমান কমিটি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা এই গভর্নিং বডির পদত্যাগ চাই।

গত ৩ ডিসেম্বর বাবার অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাতী শাখার শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারী (১৫)। 

গত ২ ডিসেম্বর পরীক্ষার হলে অরিত্রীর কাছে মোবাইল পাওয়া যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে নকল করার। নকলের অভিযোগে তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। পরদিন ৩ ডিসেম্বর তাকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি না দিয়ে অভিভাবকদের দেখা করতে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে যাওয়ার পর অরিত্রীর বাবাকে প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল অপমান করেন। পায়ে ধরে মাফ চাইলেও, ক্ষমা করা হয়নি অরিত্রীকে। উল্টো টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। অপমানে অশ্রুসিক্ত হন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী। বাবার অপমানে মানসিক আঘাত সহ্য করতে না পেরে শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয় অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত