খরচ ছাড়াই পড়ুন সুইডেনে, সাথে পাবেন ৮২ হাজার টাকা
প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৬, ০১:২২
উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন কার না থাকে। আর সেটা যদি হয় বিনা পয়সায় তাহলে তো আর কথাই নেই। এ যেন সোনায় সোহাগা। সেই সুযোগ করে দিছে সুইডেন, আর এ স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে জেনে নিন কিছু তথ্য।
যারা সুইডেনে পড়াশোনা করতে চান তাদের জন্য
প্রতিবছর সুইডেন সরকার বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। কিভাবে পেতে পারেন সুইডেন সরকারের স্কলারশিপ? The Swedish Institute Study Scholarships (SISS) সংক্ষেপে SI স্কলারশিপ নামে পরিচিত। এই স্কলারশিপের আবেদন করতে হবে ডিসেম্বরে।
স্কলারশিপের বর্ণনা
এই স্কলারশিপ দেয়া হয় মাস্টার্স স্টাডির জন্য। দুই বছর (চার সেমিস্টার) ফুল স্কলারশিপ দেয়া হবে। প্রথমে এক বছরের (দুই সেমিস্টার) বৃত্তি দেয়া হয়। পরবর্তীতে কোর্স ও সেমিস্টারের অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় বছরের বৃত্তি দেয়া হয়। কারণ অনেকে যথা সময়ে কোর্স ও পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে ব্যার্থ হয়।
যা পাবেন
প্রতি মাসে ৯০০০ সুইডিশ ক্রোনর মানে ৮২ হাজার টাকা বৃত্তি দেয়া হয়। ভ্রমণের জন্য এককালীন ১৫০০০ সুইডিশ ক্রোনর বা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৮ টাকা দেয়া হবে।
আবেদন করবেন যেভাবে
আবেদনের প্রথম ধাপেই একটি সাইট সম্পর্কে খুব ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত। সেটি হলো www.universityadmissions.se ; এখান থেকেই শুরু করতে হবে।
সাইটে গেলেই দেখা যাবে লেখা আছে, Start your journey here! এই সাইটে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। এটা আবশ্যক(Must)। একাউন্ট খুলতে গেলে দুটি অপশন থাকে। বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে গেলে ডান দিকের অপশন ফলো করতে হবে (No I don’t have Swedish personal ID number!) একাউন্ট খুলে ফেলুন এখনই! মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, নিজ নিজ একাউন্টের মাধ্যমে সকল প্রকার আবেদন করতে হবে।
দুইটি রাউন্ডে আবেদন করতে হবে। প্রথম রাউন্ড আবেদনের সময় ১-১৫ ডিসেম্বর। প্রথম রাউন্ডে উর্ত্তীণ হলে দ্বিতীয় রাউন্ডে আবেদন করতে হবে ১-১৩ ফেব্রুয়ারী। তারপর যারা বৃত্তি পাবে তাদের নাম এপ্রিল ২০১৬ প্রকাশ করা হবে (ই-মেইল করা হবে)। সেশন (শারদীয়, Autumn) শুরু হবে August-2016 থেকে।
প্রথম রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় রাউন্ডে আবেদনের পূর্বে আবেদন ফি বাবদ ৯০০ (নয় শত) সুইডিশ ক্রোনর pay করতে হবে। ব্যক্তিগত ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড না থাকলেও, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আবেদনের টাকা পে/ট্রান্সফার করা যাবে।
যা লাগবে
চারটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে হবে এখনই। মোটিভেশন লেটার/কাভার লেটার(Motivation Letter), CV, দুইটি রেফারেন্স লেটার, পাসপোর্ট (স্ক্যান)। CV হতে হবে ইউরোপিয়ান স্টাইলে। Motivation letter এবং রেফারেন্স লেটারের ফরমেট নিজের ইচ্ছেমতো হলে চলবে না। সেটার জন্যও নির্দিষ্ট ফরমেট(SI format) অনুসরণ করতে হবে। নির্দিষ্ট ফরমেট খুঁজে নিন এই লিংকে।
বি: দ্র
IELTS/TOFEL ছাড়াও অনেক প্রোগ্রামে আবেদন করা যায়। সেক্ষেত্রে আপনার স্টাডি অব মিডিয়াম (স্নাতক/স্নাতকোত্তর) ইংরেজিতে হতে হবে এবং সেটির প্রমাণ লাগবে। মনে রাখা আবশ্যক, শুধু মাত্র IELTS/TOFEL স্কোর কখনোই কোন দেশে বৃত্তি সুনিশ্চিত করে না। বিশেষ করে বিজ্ঞানে তো নয়ই। এটা ভাষা-জ্ঞানের সনদ এবং আবেদনের জন্য একটি requirement, নিজের পড়াশুনার ক্ষেত্রের বা গবেষণার দক্ষতার যাচাই নয়—আমরা অনেকেই এই সহজ বিষয়টা ঠিক মতো বুঝি না।