মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা
অনিয়ম প্রতিরোধে কঠোর প্রশাসন
প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০০
২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রিক যেকোন অনিয়ম প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের স্বার্থে নানামুখী সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে ৪ হাজার ৬৮টি ও বেসরকারি ৬৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫১টি। আগামী ৫ অক্টোবর (শুক্রবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে প্রায় ৬৬ হাজার শিক্ষার্থী সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অংশ নিবেন।
পরীক্ষার দিন সকাল সাড়ে ৮টায় পরীক্ষার্থীদের প্রবেশের জন্য কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে। কোনো অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার পরে কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রশ্নফাঁস রোধে ও ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষাকেন্দ্র মোবাইল ক্যালকুলেটর, ঘড়ি মেটালিক কলমসহ যে কোনও ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকগণ কেন্দ্রের ভেতরে ও পাশে অবস্থান না করতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্র ইনচার্জ ব্যতীত কেউ মোবাইল ফোন বহন করতে পারবেন না। কেন্দ্র ইনচার্জকে দেয়া হবে অ্যানালগ মোবাইলফোন। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সকল পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করা হবে। মেয়েদের তল্লাশির ক্ষেত্রে থাকবে আলাদা তল্লাশি বুথ। তল্লাশির কাজে নিয়োজিত থাকবে পুলিশ। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে মোবাইল কোর্ট।
এ বিষয় জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যজনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনেকেই সরকারকে বিব্রত করতে বিভিন্ন গুজব ছড়ায়। তাই মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ও সুন্দর করতে বন্ধপরিকর। এই সঙ্গে প্রশ্নফাঁস ও গুজব রুখতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে করা হয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় কোনোভাবেই যেন প্রশ্নফাঁস না হয় সেজন্য ডিএমপির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠক শেষে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি প্রশ্নফাঁসের মতো ঘটনা ঘটবে না।