‘ইউনিফর্ম পরিহিত অছাত্রদের চিহ্নিত করুন’
প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ২১:২৫
শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট বন্ধ করা, ইউনিফর্ম পরিহিত অছাত্রদের চিহ্নিতকরণ, শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং,স্কুলের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
৫ আগস্ট (রবিবার) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সব স্কুল-কলেজের প্রধানদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের জরুরি বৈঠকে এ প্রস্তাবগুলো দেন আগতরা। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন তারা।
সভায় ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড নিশ্চিত করার প্রতি জোর আরোপ করেন।
নজরুল শিক্ষালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা জাহান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দেখা উচিত রাস্তায় যারা নেমেছে তাদের কতোজন ছাত্র?
সভায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে সভা করা, কাউন্সিলিং করার জন্য কাউন্সিলর নিয়োগ, স্কুলের সামনে পুলিশ পাহারা ও বাসের ব্যবস্থা করার প্রতি গুরুত্ব দেন।
সভায় মোহাম্মদপুরের কিশলয় বালিকা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে এসএমএস দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে নিয়ে আসা, অনুপস্থিতদের তালিকা করে তাদের অভিভাবকদের জানানো, প্রয়োজনে বাড়ি ভিজিট, এ সময়ে অন্য কোনো পরীক্ষার আয়োজন, সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করার প্রস্তাব দেন।
ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মারুফী খান বলেন, শিক্ষার্থীদের ফেরাতে ফেসবুকে প্রচারণা চালানো যেতে পারে।
তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষক আন্দোলন উস্কানি দিচ্ছেন। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসোইন বলেন, মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪০ জন ছাত্রকে অধ্যক্ষ টিসি দিয়েছেন তা গুজব। আমি ওখানকার পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি হজে গেছেন। এটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। রাজউক কলেজেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা দেওয়া হবে।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছে সেখানে দোষের কিছু দেখছি না। শিক্ষার্থীরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে তা সফল হয়েছে। এটাকে বিপথগামী করার জন্য নানা মহল মাঠে নেমেছে। দীর্ঘ সময় মাঠে থাকলে কোমলমতিদের উদ্দেশ্য হারিয়ে যাবে। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।