ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে ১২৭ দেশে
প্রকাশ | ০৭ জুন ২০১৭, ১০:৪২
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন, দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
৬ জুন (মঙ্গলবার) জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। আর দেশে মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এবং ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে ৮৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক এবং ১৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের জন্য জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে ৬১টি পদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও ১৪টি পদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকারদলীয় অপর সাংসদ ইসরাফিল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার সংখ্যা ৮৫১টি। এর মধ্যে অ্যালোপেথি ২৬৬টি, ইউনানি ২৬টি, আয়ুর্বেদিক ২০৭টি, হোমিওপ্যাথি ৭৯টি ও হার্বাল ৩২টি। বর্তমানে অনুমোদিত ২৬ হাজার ৯১০টি ব্রান্ডের অ্যালোপেথিক ওষুধ বাজারে রয়েছে।
এছাড়া সাংসদ এম এ আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান জানান, চুক্তি অনুযায়ী ২০১৭ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন এ বছর হজ পালনে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এর মধ্যে ব্যালটি ১০ হাজার এবং নন-ব্যালটি ১ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন। ব্যালটি ১০ হাজারের মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জনকে নন-ব্যালটি হিসেবে স্থানান্তরের জন্য সৌদি সরকারে চিঠি দেওয়া হয়েছে।