বাজেট ২০১৭-১৮: শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে ১৪২২ কোটি টাকা
প্রকাশ | ০১ জুন ২০১৭, ২০:৪৫
প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট ৫০ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিগত সময়ের হিসেবে সামগ্রিক শিক্ষা খাতে এটাই সর্বোচ্চ বরাদ্দ। শিক্ষায় এ বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের তুলনায় এক হাজার ৪২২ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে শিক্ষা খাতে ৪৯ হাজার ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। এবার উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলে বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মিলে শিক্ষা খাতকে বিবেচনা করা হয়। তবে গত কয়েক বছরের মতো এবারও প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কেও একীভূত করে ‘শিক্ষা ও প্রযুক্তি’ খাত করা হয়েছে।
শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতেই প্রস্তাবিত বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ। এ খাতে ৬৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ ৫২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল যা ছিল মোট বাজেটের ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫০ হাজার ২৯২ কোটি টাকা করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনকূলে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২২ হাজার ২২ কোটি টাকা। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৮ হাজার ৪১০ কোটি টাকা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে ২৩ হাজার ১৪১ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বরাদ্দ ৫ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গুণগত উৎকর্ষতা সাধনে ৫০৩টি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক ইন্টারঅ্যাকটিভ শ্রেণিকক্ষ তৈরির পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান ও জাতীয়করণ করা বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নে ১৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাসহ উচ্চশিক্ষার প্রসার এবং উৎকর্ষতা সাধনে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ লক্ষ্যে ৫ বছর মেয়াদি সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে শিক্ষার মানোন্নয়ন সময় সাপেক্ষ বিষয়।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাঁচটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আমাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করব।’