অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জিডি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০১৭, ২১:০৭
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ না করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম-পরিচালক নুরুল হক আগুনের ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় ওই জিডি করেন।
মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, জিডিতে আগুন লাগার ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা কীভাবে আগুন লেগেছে তার উল্লেখ নেই।
ফায়ার সার্ভিসও এ আগুনের কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষ না করে বলতে পারছে না।
এ ঘটনায় গঠিত ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান আশা করছেন, তিন দিনের মধ্যেই তারা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারবেন।
ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, "আগুন ‘সাধারণত’ বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে লাগে। বাংলাদেশ ব্যাংকে কীভাবে লেগেছে তা তদন্ত শেষে জানা যাবে। আগুন কীভাবে লেগেছে বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত কমিটি সাধারণত সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রকাশ করে। কিন্তু আমরা তিন কার্যদিবসের মধ্যেই তা প্রকাশ করার চেষ্টা করব।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।”
আগুন নেভার ঘণ্টাখানেক পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ১৪ তলার দক্ষিণপূর্ব কোণের ওই কক্ষের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুড়েছে। কোনো কম্পিউটার সার্ভারে আগুন লাগেনি। তবে কিছু ফাইলপত্র পুড়ে গেছে।”
আগুনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো নথি পুড়েছে কি না জানতে চাইলে ফায়ার ব্রিগেডের ডিজি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা তা খতিয়ে দেখছেন।”
আলী আহমদ বলেন, যে কক্ষ পুড়েছে সেখানে একটি ইউপিএস ছিল। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলার একটি কক্ষে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাংলাদেশে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৩০ তলা ওই ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
অগ্নিকাণ্ডের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আগুন লাগার খবর পেয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও গভর্নর ফজলে কবির দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংকে ছুটে যান। রাত পৌনে ১২টার দিকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নানও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢোকেন।