শুল্ক কমাতে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন তারানা

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০১৬, ২০:২১

অনলাইন ডেস্ক

মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের সুপারিশ করে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

রবিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বিষয় নিয়ে অপারেটরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা জানান।

মোবাইল ফোনের সেবায় সম্পূরক শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করায় গ্রাহকের ওপর তেমন চাপ পড়বে না বলে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী বাজেট উপস্থাপনের পর বৃহস্পতিবার রাতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি এসআরও জারি করে, যাতে মোবাইল ফোনের সেবায় সম্পূরক শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়। ওই এসআরও পাওয়ার পরপরই মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে নতুন হারে টাকা কাটা শুরু করেছে।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটর অফ বাংলাদেশ (অ্যামটব) মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বলেন, এর ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হবে।

তারানা হালিম বলেন, “আমি বাজেটের আগেই অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম মোবাইল ফোনের কথা বলার উপর কোনো কর আরোপ না করার জন্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমি অনুরোধ করেছিলাম এ শিল্পটাকে বেড়ে উঠতে দিই। চিঠিটি আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। বাজেট বক্তৃতায় তার রিফ্লেকশনটা আমি পাইনি।”

রবিবারই আরেকটি চিঠি পাঠানো হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমি আরেকটি চিঠি ড্রাফট (খসড়া) করেছি, এটা আমি সই করে আজই অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। যেখানে আমি অনুরোধ করেছি ,আমাদের মোবাইলে কথা বলার উপর যদি এ হারে চার্জ আরোপ করা হয় তাহলে ইন্ডাস্ট্রিটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি পুরো দেশকে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আনার পাশাপাশি সেবা সুলভ করার লক্ষ্য ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি সুলভটা করব কীভাবে, যদি আমার নতুন করে চার্জ আরোপ হয়। তাহলে আমার কমিটমেন্টে বাধাগ্রস্ত হবে। মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেটের খরচ প্রতিবেশী দেশে আমাদের দেশের চেয়ে অনেক কম। আমি আরও কমাতে চেয়েছিলাম। আরও কমাতে পারাটা তো প্রতিবন্ধকতা হয়ে যাচ্ছে।”

সংসদে বাজেটের উপর আলোচনায় এই বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করবেন বলেও জানান তারানা।

আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “বাজেটে এ সংশোধনী এনে যাতে বাজেটটি পাস করা করা হয় এ ব্যাপারে আমার শতভাগ চেষ্টা থাকবে। আউটকামটা জানি না। তবে আমি যখন শতভাগ চেষ্টা দিই, তখন আউটকাম খারাপ হয় না।”