জাতিসংঘের পূর্বাভাস
প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৪
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে জাতিসংঘের দেয়া এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধিতে প্রথম সারিতে থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
প্রতিবেদনটি গত ২১ জানুয়ারি (সোমবার) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত হয়। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগ (ইউএন-ডেসা), বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংস্থা আঙ্কটাড এবং এসকাপসহ ৫টি আঞ্চলিক কমিশন যৌথভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের প্রবৃদ্ধি বলতে ক্যালেন্ডার বছর জানুয়ারি-ডিসেম্বর ধরা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমারের ক্ষেত্রে ২০১৮-২০১৯ কে অর্থবছর হিসেবে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। অবশ্য সরকারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিষয়ে বলা হয়েছে, শক্তিশালী বিনিয়োগ, বেসরকারি ভোগ ব্যয় এবং সংকুলানমুখী মুদ্রানীতির কারণে কয়েক বছর ধরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশের মধ্যে রয়েছে- ভারত, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ঘানা, ইথিওপিয়া। এমনকি সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদানও রয়েছে এ তালিকায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এশিয়ার মধ্যে চীনের প্রবৃদ্ধি এ বছর কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কম্বোডিয়ায় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশেরই প্রবৃদ্ধি হবে বাংলাদেশের চেয়ে কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বহুলাংশে ইতিবাচক।
গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির সদস্য ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। তবে প্রবৃদ্ধির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেননা ভোগের ক্ষেত্রে, সম্পদের ক্ষেত্রে ও আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য হচ্ছে। বৈষম্য বাড়লে উচ্চ প্রবৃদ্ধি টেকসই হয় না।