জুতা মোছার ব্রাশে দুঃখ মুছলো তাদের!
প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০১৭, ০০:০২
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটী ইউনিয়নের হেরেন্দ্রপাড়া গ্রামের অসংখ্য বেকার যুবকদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে ব্রাশ শিল্পে। প্রায় ২৫০ পরিবারের ভাগ্য বদলেছে এ শিল্পে।
বেকারত্বের অভিশাপ কাটিয়ে এখন স্বাবলম্বী হওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা। অভাব অনটন ছিল যাদের নিত্যসঙ্গী তাদের মুখে এখন হাসি।
হেরেন্দ্রপাড়া গ্রামে ছোট বড় বেশ কয়েকটি ব্রাশ তৈরির কারখানা হয়েছে। সেখানে অসংখ্য বেকার যুবকরা শ্রম দিয়ে বেকারত্ব দূর করে নতুন জীবন যাপন শুরু করেছে।
কারখানার মালিক রোকন মোল্লা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে থেকে তিনি এ পেশায় জড়িত। ঘরে-বাইরে মিলে প্রায় ৪০ জন শ্রমিক নিয়ে এ ক্ষুদ্র কারখানা। মাসে ৬০-৭০ ক্রোশ ব্রাশ তৈরি হয়। উৎপাদিত পণ্য ঢাকার চকবাজারে বিক্রি হয়। এখানে প্রতিটি শ্রমিক দিনে ৫শ’ টাকা করে আয় করতে পারে। গ্রামের প্রায় ২৫০টি পরিবার এখন এই ব্রাশ তৈরীর শিল্পের সাথে জড়িত।
ব্রাশ শিল্পের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি ব্রাশে তাদের ১৮ টাকা লাভ হয়। এক ক্রোশ ব্রাশ তৈরিতে ১৪৪টি ব্রাশ লাগে। আর এক ক্রোশ বাশ্রের দাম ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। দিনে ৩শ’ টি ব্রাশ তৈরি করা যায়। আর ব্রাশ তৈরিতে উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয় চুল, গরুর বাইট, কাঠ, জিয়াই তার ও বার্নিশ।
স্থানীয় কাঁচামাল কদম কাঠ ও ঢাকার বিভিন্ন ট্যানারি থেকে গরুর লেজের চুল সংগ্রহ করে নির্ধারিত প্যাটানে বার্নিশিং ফিনিশিংসহ কয়েকটি ধাপে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ডিজাইনের ব্রাশ।
এ অঞ্চলের ব্রাশ শিল্পীদের দাবি, সরকার বিভিন্ন কুটির শিল্প প্রস্তুতকারকদেরকে সহজশর্তে ঋণসহ নানা আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু তাদের এই কুটির শিল্পের বিষয়ে সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতাই নেই।