চাল আমদানি করতে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সমঝোতা স্মারক সই
প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৭, ১৫:০৫
চাহিদা অনুযায়ী থাইল্যান্ড থেকে প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১০ লাখ টন চাল আমদানি করতে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ সরকার। ১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) হোটেল সোনাগাঁওয়ে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে চতুর্থ জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) দ্বিতীয় দিনের সভায় এ চুক্তি সই হয়। আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দেশটি থেকে এ চাল আমদানি করতে পারবে।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং থাইল্যান্ডের পক্ষে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী আপিয়ার্দি থানথ্রাপম। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে এ চুক্তি কেন করলাম? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতি বছর সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন চাল উৎপাদনে সক্ষম। কিন্তু দেশে চাহিদা আছে ২ কোটি ৭০ লাখ মেট্রিক টন। বাকি চাল রফতানি শুরু করেছিলাম। কিন্তু এ বছর বন্যায় আমাদের ধান উৎপাদনের বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কিছু চাল আমদানি করতেই হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করেছি। এবার থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানির চুক্তি করলাম।’
কতদিন এভাবে চাল আমদানি করা হবে? বা যেবছর ধান নষ্ট হবে না সেবছরও চাল আমদানি করার প্রয়োজন আছে কিনা? প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘না, প্রতিবছর চাল আমদানি করার প্রয়োজন নেই। তবে প্রয়োজন হলে আমদানি করা হবে। প্রয়োজন না হলে করবো না। অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানি করা হবে।’
আমদানিতে চালের দাম কিভাবে নির্ধারণ করবেন? প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচানার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম পর্যবেক্ষণ করা হবে।