রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে প্রাঙ্গণেমোর-এর ‘শ্যামাপ্রেম’

প্রকাশ : ০৫ মে ২০১৭, ১৩:১০

জাগরণীয়া ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর আগামি ৬ মে (শনিবার) ১৪ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে প্রাঙ্গণেমোর মঞ্চায়ন করছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্যামা নৃত্য অবলম্বনে শ্যামাপ্রেম নাটকের বিশেষ প্রর্দশনী।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে ৭ মে (রবিবার) সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়িত হবে প্রাঙ্গণেমোর-এর এই প্রথম প্রযোজনাটি। রবীন্দ্রনাথের শ্যামা নৃত্যনাট্য অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন শ্রী চিত্তরঞ্জন ঘোষ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা।

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, রামিজ রাজু, শিশির রহমান, ইউসুফ পলাশ, শুভেচ্ছা রহমান, আশা, সরোয়ার সৈকত, রিগ্যান সোহাগ রত্ন, বিপ্লব, মনির, সীমান্ত, প্রকৃতি।

নাটকের কথা
‘শ্যামাপ্রেম’ নাটকটির মূল উপজীব্য ভালোবাসা, স্বাধীনতা ও মানবতার চিরায়ত আকাঙ্খা। গল্পটির আবর্তণের কেন্দ্রে যেই চরিত্রটি, সে এক রাজ নর্তকী শ্যামা। গ্রামের সাধারণ এক কৃষক পরিবারের এই মেয়েটিকে কৈশোরের হুল্লোড় থেকে সম্পর্কের নাড়ী ছিঁড়ে লুট করেছিলো অত্যাচারী জমিদারের লোকেরা। নটী জীবনে তাঁর সঙ্গী তার গাঁয়েরই মেয়ে মালা এবং এক সহজ সরল তরুণী নবীনা।

ভাগ্যচক্রে রাজ নর্তকী হয়ে উৎকোচ আর বশীকরনের বাঁকা পথে অভ্যস্ত ‘শ্যামা’র প্রায় মরে যাওয়া স্বপ্নগুলো আরেকবার বেঁচে উঠে যাঁর সান্নিধ্যে, সে এক বিদেশী বনিক- প্রেমময় শৌর্যবান পুরুষ বজ্রসেন। অন্যদিকে ছেলেবেলার হল্লাহাটির সাথী অভিমানী বিপ্লবী উত্তীয় প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে শ্যামাকে। কিন্তু তার কাছে ধরা দেয়াটা হয়ে ওঠেনা শ্যামা-র। অন্যদিকে বজ্রসেনের সাথে স্বপ্নযুথের আকুলতায় শ্যামা প্রত্যাখান করে প্রতাপশালী অমাত্ত সায়নের আয়োজিত ভোজসভায় গীতনৃত্যের আহবান।

অপমানজ্ঞানে বৈরী হয় সায়ন- বজ্রসেনকে ‘গুপ্তচর’ সাব্যস্ত করে আটক করে এবং আয়োজন শুরু হয় তার শিরচ্ছেদের। যেই উত্তীয় তার ভালোবাসার প্রতিদানে কোনোদিন শ্যামার কাছ থেকে কিছুই পায়নি, সেই বজ্রসেনকে বাঁচাতে আত্মদানে প্রবৃত্ত হয় উত্তীয়। কুট-চালে সিদ্ধহস্ত রাজকোটালের বন্দোবস্তে বজ্রসেনকে ছেঁড়ে দেওয়া হয় আর ‘বজ্রসেন’ পরিচয়ে উত্তীয়কে শিরচ্ছেদে হত্যা করা হয়। বজ্রসেন ফিরে আসে ঠিকই, কিন্তু সব জানতে পেরে ঘৃনায় গ্লানিতে দিশেহারা হয়ে আত্মঘাতী হতে বেরিয়ে যায়। চিত্ত স্থির হলে আবার ফিরে আসে, শ্যামাকে সঙ্গে করে যাত্রা শুরু করে মৃত্যুঞ্জয়ী উত্তীয়র খোঁজে, অন্ধকার থেকে মুক্তির খোঁজে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত