এক লেখিকার স্মরণে এসে আরেক লেখিকার মৃত্যু
প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২১:৪৯
শনিবার চট্টগ্রামে সদ্য প্রয়াত এক লেখিকা ফাহ্মিদা আমিনের স্মরণ সভায় যোগ দিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন আরেক লেখিকা। নিহত জেসমিন খান রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ড্রাইডকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেম খানের স্ত্রী।
গত ১৩ জানুয়ারি ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের টলিডো শহরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮১ বছর বয়সে মারা যান কথাসাহিত্যিক, নারী সংগঠক ও নারীকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা ফাহ্মিদা আমিন। তার স্মরণে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক ও প্রফেসর মোহাম্মদ খালেদ ফাউন্ডেশন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভার আয়োজক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. মঈনুল ইসলাম মাহমুদ জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে কথাসাহিত্যিক ফাহ্মিদা আমিনের স্মরণ সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখার পর দর্শক সারিতে বসেন ৫৯ বছর বয়সী জেসমিন খান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানেই জেসমিন খানের মৃত্যু হয়। হৃদরোগে তার মৃত্যু হওয়ার কথা জানান সেখানকার চিকিৎসকরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দৈনিক আজাদীর আলোকচিত্রী আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, "আলোচনায় জেসমিন খান প্রয়াত লেখিকা ফাহ্মিদা আমিনের স্মৃতিচারণ করেন। জেসমিন খানের এক কিশোর ছেলে কয়েক বছর আগে নগরীর একটি বহুতল ভবন থেকে পড়ে মারা গিয়েছিল। সেসব কথাও তিনি বলেন। এরপর অন্য একজন বক্তব্য রাখছিল। তখন দর্শক সারিতে বসা জেসমিন খান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন একটি গাড়িতে করে জেসমিন খানকে প্রেস ক্লাবের কাছের চেরাগী পাহাড় মোড়ের সেন্টার পয়েন্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জেসমিন খানের মৃত্যু হয়েছে”।
জেসমিন খানের মরদেহ নগরীর মোমিন রোডের বাসভবনে নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক আজাদীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখতেন জেসমিন।
বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু সাহিত্যিক রাশেদ রউফ জানান, জেসমিন খান ভ্রমণ কাহিনী ও আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধ লিখতেন। সময়ের জলছবি ও লসএঞ্জেলেস এর দিনগুলোসহ তিনটি বই রয়েছে জেসমিন খানের।
রউফ জানান, জেসমিন খান বছরের বেশিরভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলেসে থাকতেন। দুই-তিন মাস চট্টগ্রামে থাকতেন তিনি।