শ্লীলতাহানি
প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৭, ২০:৫৪ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭, ১৯:১৪
শ্লীলতাহানি, শ্লীলতাহানি
মাথার ভেতর ঘুনপোকারা
গাইছে বেদম গলা ছেড়ে
শ্লীলতাহানি।
আজকে মেয়ের ঘোর কাটে না,
ঘোর কাটেতো মন জাগে না,
চোখের কোলে জল জমে না,
শ্লীলতাহানি।
একটি মেয়ে আতুর ঘরে, শ্লীলতাহানি।
মানছেনা তার জন্মটি কেউ, শ্লীলতাহানি।
ছোট্ট মেয়ের আদর ছলে, শ্লীলতাহানি।
খেলতে গিয়ে হোঁচট খেলে, শ্লীলতাহানি।
নিজের পায়ে চলতে শেখা, শ্লীলতাহানি।
নিজের কথা বলতে শেখা, শ্লীলতাহানি।
মেয়ে তুমি দেখতে ভালো, শ্লীলতাহানি।
মেয়ে তুমি বেজায় কালো, শ্লীলতাহানি।
মেয়ে তুমি একলা হাঁটো, শ্লীলতাহানি।
মেয়ে তুমি ভিড়ের মাঝে, শ্লীলতাহানি।
ঘর থেকে আজ দু'পা ফেলে, ভাবলে তুমি মানুষ হলে!
হা হা বড় লোক হাসালে, শ্লীলতাহানি।
খুব সকালে, খুব নিশিথে,
ভর দুপুরে, সাঁঝবেলাতে,
চাইছে তোমায় যখন যেমন, শ্লীলতাহানি।
স্কুলের বাসে, বটতলাতে, কিংবা গাঁয়ের মেঠোপথে
শিক্ষিত বা অশিক্ষিত- ছেলে, ছোকরা, বৃদ্ধ যত
যখন যেমন ইচ্ছেমতো, শ্লীলতাহানি।
জীবন কেনো দেখবে তুমি?
পরের চোখেই বিশ্ব দেখো
মিছে কেনো বাইরে যাবে?
ঘরের আগল বন্ধ রাখো।
দেখবে না কেউ, জানবে না কেউ
হচ্ছে কত শ্লীলতাহানি
বিকৃত কাম, হিংস্র আঘাত
নিত্য কত জমছে গ্লানি;
শ্লীলতাহানি, শ্লীলতাহানি
মাথার ভেতর ঘুনপোকারা
গাইছে বেদম গলা ছেড়ে
শ্লীলতাহানি, শ্লীলতাহানি!!